দেশে এখন
চট্টগ্রামের বৈশাখী মেলায় অর্ধশত কোটি টাকার বিক্রি
চট্টগ্রামের লালদীঘি এলাকায় চলা শতবছরের পুরনো বৈশাখী মেলার শেষ দিনে জমে উঠে বিক্রি। তীব্র গরম উপেক্ষা করে শেষ মুহূর্তে রান্নাঘর, গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনেন ক্রেতারা। তিন দিনের এই মেলায় বেচাকেনা অর্ধশত কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানান আয়োজক ও বিক্রেতারা।

দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে ফুল ঝাড়ুর বিক্রি করেন কক্সবাজারের উখিয়ার ইউসুফ সওদাগর নামের এক ব্যবসায়ী। প্রতিবছর অপেক্ষায় থাকেন চট্টগ্রামের শতবছরের পুরনো জব্বারের বৈশাখী মেলার জন্য। যেখানে ৫-৬ লাখ টাকার ফুল ঝাড়ু বিক্রি করেন তিনি। এবারও ৫ হাজারের মতো ঝাড়ু নিয়ে এসেছেন। বিক্রিও বেশ ভালো হয়েছে।

ইউসুফ সওদাগর বলেন, 'মোটামুটি ৪-৫ হাজারের মতো ঝাড়ু আনছিলাম। প্রায় ২ হাজার ঝাড়ু বিক্রি হইছে। দেড় লাখ টাকা বিক্রি হইছে এখন পর্যন্ত।'

তার মতো আরও অনেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ঝাড়ু নিয়ে এসেছেন। প্রতি জোড়া ঝাড়ু বিক্রি হয় ১২০ টাকা থেকে ২৫০ টাকায়। এদিকে গরম আর লোডশেডিংয়ে চাহিদা ছিলো হাতপাখারও। তালপাতা, বাঁশ বেত দিয়ে তৈরি প্রতিজোড়া হাত পাখা বিক্রি হয় ১৫০ থেকে ৬০০ টাকায়।

মেলায় চাহিদার শীর্ষে ছিল ঝাড়ু ও হাত পাখা। যেখান থেকে পুরো বছরের জন্য এসব পণ্য কিনে নেন ক্রেতারা। মেলায় শুধু ঝাড়ু আর হাতপাখাই বিক্রি হয় কোটি টাকার উপরে।

ক্রেতারা বলেন, সারা বছরের ঝাড়ু একবারেই কিনে নেই এ মেলা থেকে। কারণ ঝাড়ু সব সময়ই লাগে। হাতপাখা প্রতিপিস কিনেছি ১০০ টাকা করে। মেলা থেকে প্রতিবছর চাহিদা মতো জিনিস কিনতে পারি। যে জিনিসগুলো সারা বছর পাই না, সেগুলো এখানে পাওয়া যায়।

বিক্রেতারা বলেন, বিক্রি অনেক ভালো হইছে। ক্রেতাদের আনাগোনা অনেক বেশি। মাটির জিনিস থেকে শুরু করে প্রায় সকল পণ্যই মেলায় আছে। সবাই পছন্দ মতো জিনিস ক্রয় করছে।

লালদীঘির আশপাশ মিলে প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বসা মেলায় মিলেছে মাটির তৈরি হাড়ি পাতিল খেলনা, ঘর সাজানোর জিনিসপত্র, দা খুন্তি, শীতল পাটি, কাঠের আসবাব ও শোপিস, গাছের চারা, খাবারসহ হাতের তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র। তীব্র তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করেই দিনভর পছন্দের পণ্য কেনেন ক্রেতারা। মেলার শেষ দিনে বেচাবিক্রি বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

জব্বারের এই বৈশাখী মেলায় ৩ হাজারের বেশি ব্যবসায়ী নিজেদের তৈরি পণ্য নিয়ে এসেছেন। যেখানে ১০ হাজার থেকে ১০ লাখ টাকার ব্যবসা করেন তারা।

এভিএস