বিদেশে এখন
যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বে বাড়ছে অর্থনৈতিক সংকট
যুদ্ধে লিপ্ত মিত্রদের হাজার হাজার কোটি ডলার সহায়তা দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি খুব একটা ভালো নেই। ভোক্তা ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় এবং রপ্তানি অগ্রগতি মন্থর হয়ে পড়ায় জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে প্রভাব পড়েছে। প্রথম তিন মাসে দেশটিতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি গত বছরের শেষ সময়ের তুলনায় কিছুটা কমেছে, তবে এ নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন দেশটির অর্থমন্ত্রী।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে ধুঁকছে বিশ্ব বাণিজ্য সরবরাহ ব্যবস্থা। তাই দেশে দেশে বাড়ছে অর্থনৈতিক সংকট। তবুও যুদ্ধে লিপ্ত দেশগুলোকে থামানোর চেষ্টা না করে একটি পক্ষকে হাজার হাজার কোটি কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে বিশ্ব অর্থনীতি আরও বেশি বেকায়দায় পড়ছে, যুক্তরাষ্ট্রও এর বাইরে নয়।

ভূ-রাজনীতিতে আধিপত্য খাটাতে গিয়ে মার্কিন অর্থনীতি এখন খাদের কিনারার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। কারণ দেশটির ভোক্তা ব্যয় বেড়ে যাওয়া এবং রপ্তানি অগ্রগতি মন্থর হয়ে পড়ায় বছরের প্রথম তিন মাসে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমেছে ১.৬ শতাংশ। যা ২০২৩ সালের শেষ তিন মাসের জিডিপির সঙ্গে তুলনা করলে তীব্র মন্দার আভাস মেলে।

মার্কিন অর্থনীতির চাকা ঠিক রাখতে ভোক্তা ও বিনিয়োগ ব্যয়ের সক্ষমতার ওপর বেশি জোর দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা, জ্বালানি ও আবাসন ব্যয় কিভাবে কমানো যায় তার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি। তবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমার বিষয়টিকে কিছুটা হালকা করেই দেখছেন জ্যানেট ইয়েলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেন, ‘আমাদের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ এখনও যথেষ্ট শক্তিশালী। আমি মনে করি, মার্কিন অর্থনীতি খুব ভালভাবেই অগ্রসর হচ্ছে।’

অর্থনীতির চাকা ঠিকঠাক চলছে বললেও চাহিদার তুলনায় চীন তাদের উৎপাদন বাড়ানোর পথে হাঁটায় যুক্তরাষ্ট্র যে উদ্বিগ্ন তা অকপটে স্বীকার করেছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও ইউরোপ, জাপান, মেক্সিকো ও ভারতের মতো উদীয়মান বাজারের উৎপাদকদের জন্য হুমকির কারণ হয়ে উঠেছে চীন।’

এদিকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি মন্থর হয়ে পড়ায় আগামী সেপ্টেম্বরের আগে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমাবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এওয়াইএইচ