কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে একই জায়গা থেকে সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত দেখার সুযোগ মেলে। এছাড়া আরও নানা কারণে কুয়াকাটার প্রতি পর্যটকদের আগ্রহ বরাবর বেশি থাকে। পদ্মাসেতু দিয়ে যাতায়াতের সময় কম লাগায় এর মাত্রা বেড়েছে। ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টার দূরত্ব এখন ৫ ঘণ্টায় নেমেছে।
শুধু আসা-যাওয়া, ঘোরাফেরা আর বিনোদনে পরিবর্তনের এই ধারা সীমাবদ্ধ নেই। অর্থনৈতিকভাবেও পরিবর্তন আসছে। কুয়াকাটার বিভিন্ন অলি-গলিতে খালি পড়ে থাকা জমির দামও বাড়ছে। স্থানীয়দের পাশাপাশি এখানে দেশের বিভিন্ন স্থানের উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করছেন।
হোটেল সংশ্লিষ্টরা বলেন, 'পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর আনুমানিক ৫০ থেকে ৬০টা হোটেল এখানে নির্মাণ হয়েছে। পর্যটকের সংখ্যাও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে তারা রুম পেতো না, হয়রানি হতো। কিন্তু এখন আর তা হয় না।'
ভ্রমণ পিপাসুদের দাবি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভাণ্ডার কুয়াকাটা বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র হবে।
কুয়াকাটাতে পর্যটন সম্ভাবনায় গড়ে উঠেছে অত্যাধুনিক হোটেল
পর্যটকরা বলেন, 'নতুন আরও হোটেল হলে এলাকার পরিবেশ অনেক সুন্দর হবে। পর্যটন এলাকা হিসেবে যে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা থাকা দরকার সেটা কুয়াকটায় অনেকটাই গড়ে উঠেছে। রাস্তাঘাট এবং পয়:নিষ্কাশনের দিকে সরকারকে আরও মনোযোগ দিতে হবে।'
বাণিজ্যিক সম্ভাবনা বিবেচনায় অর্ধশতাধিক হোটেল নির্মাণে নতুন করে শত কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা যার সুফল পেতে শুরু করেছেন।
বিনিয়োগকারী মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, 'নতুন নতুন অনেক হোটেল গড়ে উঠেছে। প্রতিটা হোটেলে ২ থেকে ৩ কোটি টাকা করে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। সেসুবাদে হোটেলগুলোও মানসম্মত হয়েছে।'
হোটেল ফ্রেন্ডস পার্ক ইন'র চেয়ারম্যান মো. জাহিদ রিপন বলেন, 'হোটেল-মোটেলগুলো তৈরি হওয়ার পরে কর্মসংস্থান বেড়েছে।পর্যটকদের আরও আকৃষ্ট করার জন্য সরকারের পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসা এবং মানসম্পন্ন হোটেল তৈরি করা উচিত।'
ব্যবসায়ীদের মতে অবকাঠামো ছাড়াও পর্যটন খাতকে বিশ্বমানের করতে সঠিক প্রচার, নিরাপত্তা ও সরকারি-বেসরকারি সহায়তা প্রয়োজন।