পাকিস্তানকে তাদের ঘরের মাঠে ধবলধোলাইয়ের পর সেই পারফরম্যান্সই যেন ভারতেও নিয়ে গিয়েছিলেন হাসান মাহমুদ-তাসকিন আহমেদরা। টেস্টের প্রথম দিনের দুই সেশনে ভারতীয় ব্যাটারদের রীতিমতো নাচিয়ে ছেড়েছিলেন তারা। তবে সেদিন রবীচন্দন অশ্বীন ও রবীন্দ্র জাদেজার ব্যাটে চড়ে চালকের আসনে বসে স্বাগতিকরা, ম্যাচের আর কোন সেশনেই কোন সুযোগই দেয়নি অতিথিদের।
এমনকি তৃতীয় দিনের খেলা শেষে আলোচনা ছিল একটাই। হারের ব্যবধান কতটা কমাতে পারবে বাংলাদেশ? চতুর্থ দিন সকালের প্রথম ঘণ্টায় সাকিব আল হাসান আর নাজমুল হোসেনের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল, কিছুটা হলেও লড়াই করবে বাংলাদেশ।
দিনের প্রথম ঘণ্টায় খুব বেশি রান তুলতে না পারলেও কোন উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে ধুকলেও দেখেশুনেই খেলছিলেন শান্ত ও সাকিব। টাইগার শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন আগের দিন তিন উইকেট নেওয়া রবিচন্দ্রন অশ্বিন। পানি পানের বিরতির পর চতুর্থ বলে সাকিব আল হাসানকে ফিরিয়েছেন তিনি। ৫৬ বলে ২৫ করেছেন ১৭ রানে জীবন পাওয়া সাকিব।
দিনের প্রথম উইকেটের পরই যেন ধস নামে টাইগারদের ব্যাটিং লাইনআপে। সাকিবের সাজঘরে ফেরার ১৫ বল পরেই বাংলাদেশের ইনিংসে আঘাত হানেন রবীন্দ্র জাদেজা। ১০ বল খেলে ১ রান করতে পেরেছেন লিটন। লিটনের পর আশ্বীনের পঞ্চম শিকার হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১০ বলে ৮ রান করে ফিরেছেন মিরাজ।
বাকিদের আশা যাওয়ার মধ্যে অপরপ্রান্ত আগলে ধরে একাই লড়ে যাচ্ছিলেন টাইগার অধিনায়ক শান্ত। শেষ পর্যন্ত স্রোতের বিপরীতে টিকতে পারেননি তিনিও। ৮২ রান করে জাদেজার বলে বুমরার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। এরপর ফিরে গেছেন তাসকিন আহমেদও। ৬৩তম ওভারে হাসান মাহমুদকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেছেন জাদেজা।
ভারতের পক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট নিয়েছেন অশ্বিন। জাদেজা নিয়েছেন ৩ উইকেট, বুমরার ঝুলিতে গেছে একটি উইকেট।
প্রথম দিনের অসাধারণ দুই সেশনের পর কে-ই বা ভেবেছিলো বাংলাদেশের হার হবে মাত্র ১০ সেশনেই?