দেশে এখন
0

নিবন্ধনে পাস করলেও শিক্ষকতার স্বপ্ন অধরাই রইল আবু সাঈদের

অভাবের সংসারে নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ভর্তি হয়েছিলেন আবু সাঈদ। পরিবারের একমাত্র উচ্চশিক্ষিত হওয়ায় তাকে ঘিরে শত স্বপ্ন বুনেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। বেরোবি থেকে ইংরেজিতে স্নাতক শেষে পরিবারের আর্থিক সংকট দূর করতে চাকরি পরীক্ষায় অংশ নিতে শুরু করেন তিনি। আবু সাঈদের সে চেষ্টা সফলও হয়েছে।

আজ (সোমবার, ১৪ অক্টোবর) বিকেলে প্রকাশিত বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) প্রকাশিত ১৮তম নিবন্ধনের ফলে দেখা যায়, শহীদ আবু সাঈদ ইবতেদায়ি সহকারী শিক্ষক হিসেবে (বাংলা ও ইংরেজি) লিখিত পরীক্ষায় পাস করেছেন। পরীক্ষায় আবু সাঈদের রোল নম্বর ছিল ২০১২৫৬২৯৭।

কিন্তু আবু সাঈদ হেরে গিয়েছেন জীবন যুদ্ধে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রথম শহীদ হিসেবে নাম লিখিয়েছেন ইতিহাসের পাতায়। নিবন্ধন পাস করলেও শিক্ষক হওয়ার সে স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল।

ফল প্রকাশের খবর শুনে, আবু সাঈদ এর বড় ভাই রমজান আলী বলেন, ‘শুনছি আইজ ভাই আমার (আবু সাঈদ) শিক্ষক নিবন্ধনের পরীক্ষাত পাস করছে। ভাই তো বাঁচি নাই, বাঁচি থাকলে আজ শিক্ষক হইল হয়। মানুষ হামাক মাস্টারের ভাই কয়া ডাকিল হয়।’

গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। তিনি বেরোবির ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং এই ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কও ছিলেন। ১৮ আগস্ট আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনায় তার বড় ভাই রমজান আলী মহানগর তাজহাট আমলি আদালতে মামলা করেন।

এএইচ