এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের স্বীকৃত পদ্ধতি হলো ব্রুটো ইনডেক্স বা বিআই। এই মানদণ্ডে লার্ভার ঘনত্ব ২০ শতাংশের বেশি হওয়া মানে সে সব এলাকায় ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব নিশ্চিতভাবে বেড়ে গেছে।
রাজধানী ঢাকাতেও ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব যে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে ৫০০ শয্যার মুগদা হাসপাতালে গিয়ে। শয্যা সংকটে এ হাসপাতালে মেঝেতেও সেবা নিতে বাধ্য হচ্ছেন রোগীরা।
রোগীদের মধ্যে একজন জানান, সপ্তাহে একদিন আসে ঔষধ দিতে। এছাড়া আর কোনো কার্যক্রম নাই।
মহল্লায় অনেক জায়গা পরিষ্কার আছে আবার অনেক জায়গা পরিষ্কার নাই। আর এইদিকে সিটি করপোরেশনের লোকেরাও ঠিকমত ডিউটি করেনা বলেও জানান এক রোগী।
রোগীরা বলছেন, 'মশা নিধন কার্যক্রমে আর আগের মতো গতি নেই। সকাল-সন্ধ্যা-রাতে সমানতালে কামড়াতে থাকে এডিস মশা।'
আরো একজন বলেন, 'পুরা শরীর ব্যাথা থেকে জ্বরটা আসলো। তারপর টেস্ট করানোর পরে জানতে পারলাম রক্তের যে প্লাটিলেট কমে গেছে অনেক।'
শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত হাসপাতালটিতে রোগী ছিল ১৪০ জন, বিকাল ৪টার মধ্যে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬২ তে। স্বল্প সময়ে অধিক রোগী আসায় শয্যার সংকট দেখা দিয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক ডা. এস এম হাসিবুল ইসলাম বলেন, 'এখন যেহেতু ঘনঘন বৃষ্টি হচ্ছে দয়া করে অত্র এলাকার জনগন একটু সাবধানে থাকবেন। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস ডেঙ্গুর একটা সিজন। সামনে এই রোগটা বেড়ে যাওয়ার অনেক বড় শঙ্কা আছে।'
এদিকে বাড়তি চাপ সামাল দিতে হাসপাতালে হাসপাতালে ডেঙ্গু ডেডিকেটেড ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে অতিরিক্ত বেড, মশারি, স্যালাইনসহ আনুষাঙ্গিক সেবা উপকরণ।
পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০৩ জনের। যার মধ্যে সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৩ দিনেই মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। শুক্রবার রাত পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে ভর্তি হয়েছে অন্তত ২০০ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ১ জনের।