দেশে এখন
0

টাঙ্গাইলে অবহেলা অনাদরে হারাচ্ছে আচিক ভাষা

টাঙ্গাইলে বংশপরম্পরায় বসবাস করে বেশকয়েকটি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী। প্রত্যেকেরই রয়েছে আলাদা আলাদা মাতৃভাষা। এরইমধ্যে রাজবংশী ও বানাই ভাষা বিলুপ্ত হয়েছে। বিলুপ্ত প্রায় কোচ ভাষা। তবে আচিক ভাষা কিছুটা টিকে থাকলেও গবেষকরা বলছেন অবহেলা অনাদরে হারাতে বসেছে এই ভাষাটিও।

বছরের নির্দিষ্ট একটি দিনে ব্যবহার হয় বলে আচিক ভাষার অর্থ জানে না এই প্রজন্ম। নিয়মিত চর্চা ও ভাষার লিখিত রূপ না থাকায় নতুন প্রজন্মের অনেকেই জানে না আচিক ভাষা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, 'একটা ক্লাসেও আমাদের নিজস্ব ভাষার বই পেলাম না। ইংরেজি ভাষার যেমন অক্ষর আছে, আমাদের ভাষার কোন অক্ষর নাই। নিজস্ব বর্ণমালা থাকলে আমরা আবারও আমাদের ভাষায় ফিরতে পারতাম।'

সর্বত্র বাংলা ভাষার ব্যবহারে মায়ের ভাষা ভুলতে বসেছেন প্রবীণরাও। সরকার বই দিলেও শিক্ষক না থাকায় পিছিয়ে পড়েছে ভাষা রক্ষার উদ্যোগ।

একটি ভাষা বিলুপ্ত হলে হারিয়ে যায় হাজার বছরের ঐতিহ্য। নিজেদের দায় স্বীকার করে মাতৃভাষার ব্যবহার কমে যাওয়ায় অবহেলা রয়েছে বলে দাবি করেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নেতা ইউজেন নকরেক। বলেন, 'একটা প্রক্রিয়া করে শেখানোর ব্যবস্থা করলে এই ভাষাটা চর্চার সুযোগ থাকতো।'

এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে ভাষা টিকিয়ে রাখতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.জুবায়ের হোসেন। বলেন, 'আমরা চাইবো ভবিষ্যতেও তারা নিজের ভাষায় কথা বলুক এবং এই ভাষাটা সংরক্ষিত থাকুক। এ ব্যাপারে আমরা তাদেরকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো।'

প্রায় সাড়ে ২৩ হাজার মানুষের ভাষা রক্ষায় আচিক বর্ণমালায় কবিতা, গান, গল্প-উপন্যাস ও তাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের বই প্রকাশের দাবি বাসিন্দাদের।