প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশে ইরান সমর্থিত বাহিনীর তিনটি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। মূলত গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ইরাক আর সিরিয়ায় অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান সমর্থিত বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী।
গেল ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরাইলি অভিযান শুরুর পর থেকে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র বিভিন্ন গোষ্ঠী। ইরাক আর সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটি লক্ষ্য করে চলছে ড্রোন হামলা। সোমবার ইরাকের উত্তরাঞ্চলে আরবিল বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায় সশস্ত্র গোষ্ঠী। এ ঘটনায় আহত হন মার্কিন তিন কর্মকর্তা। এরমধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জবাবে কাতায়েব হিজবুল্লাহসহ ইরান সমর্থিত বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর তিনটি ঘাঁটিতে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ইরান সমর্থিত এসব গোষ্ঠীর হামলার সক্ষমতা একেবারেই নষ্ট করে দেয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের রক্ষাই দেশের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে বলেও জানায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড জানায়, এই হামলায় কাতায়েব হিজবুল্লাহ'র অনেক সদস্য নিহত হয়েছেন।
গাজায় অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ইরাক আর সিরিয়ায় মার্কিন সেনাঘাঁটিতে ১০৩ বার হামলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, বেশিরভাগ হামলাই চালিয়েছে ইরাকে অবস্থিত ইসলামিক রেজিন্ট্যান্স। ডিসেম্বরে বাগদাদে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসেও হামলা চালানো হয়। ইসলামিক স্টেট গ্রুপকে প্রতিহত করতে ২০১৪ সাল থেকে ইরাকে আড়াই হাজার আর সিরিয়ায় ৯শ' মার্কিন সেনা মোতায়েন করা আছে।
এর আগে শনিবার ইরাকের উত্তরাঞ্চল আর সিরিয়ায় বিমান হামলা চালায় তুর্কিয়ে। ধ্বংস করা হয় সশস্ত্র গোষ্ঠী কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির ২৯ টি স্থাপনা। নিহত হয় পিকেকে সশস্ত্র গোষ্ঠীর ১৬ জন সদস্য। তুর্কিয়ের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, দুই দিনে ইরাকের উত্তরাঞ্চলে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে সংঘাতে ১২ তুর্কিয়ে সেনা নিহত হয়। পিকেকে সশস্ত্র গোষ্ঠী নির্মূলে কিছুদিন পরপরই ইরাকে এই গোষ্ঠীর ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় তুর্কিয়ে।