তিনি বলেন, 'গতরাত ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয় নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে। এরপর মরদেহগুলো পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হলে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। বাধ্য হয়েই পরবর্তীতে সেগুলো স্টেশন নিকটস্থ বেওয়ারিস কবরস্থানে দাফন করা হয়৷ তবে, তাদের পরনের কাপড় সংগ্রহে রাখা হয়েছে, মুখের লালা এবং দাঁত রাখা হয়েছে ফরেনসিক এবং ডিএনএ টেস্ট করার জন্য।'
এর আগে গতকাল (সোমবার, ৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ৫টা থেকে ৭টার মধ্যে উপজেলার খাকচক এলাকায় রেললাইনে পাঁচজনের ছিন্নবিচ্ছিন্ন মরদেহ পাওয়া যায়। পুলিশের ধারণা, তূর্ণা নিশিতা এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়। তবে ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে কাটা পড়েছে, রেললাইনে বসা অবস্থায় কাটা পড়েছে নাকি অন্য কেউ মেরে মরদেহ রেললাইনে ফেলে রাখার পর মরদেহ কাটা পড়েছে তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
গতকাল দুপুরে ১২টা নাগাদ পিবিআই ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ শুরু করলে তারাও মরদেহের পরিচয় বের করতে পারেনি। ৫ মরদেহের কারও আঙ্গুলের সাথেই কোনো জাতীয় পরিচয়পত্র মিলেনি।
প্রসঙ্গত, ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও নিহতদের কোনো পরিচয় না পাওয়ায় ধোয়াশা তৈরি হয়েছে ঘটনাটি ঘিরে। অনেকেই ধারণা করছেন তারা তারা ৫ জন পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার কিংবা মাদকাসক্ত হয়ে রেললাইনে পড়ে ছিল, তারপর তাদের ওপর ট্রেন গিয়ে ছিন্নভিন্ন করে দেয়।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. জমির বলেন, '৫ মরদেহের কারও আঙ্গুলের ছাপের সাথে কোনো আইডি কার্ডের যোগসূত্র পাওয়া যায়নি। নিহতরা উদ্বাস্তু ধরনের মানুষ ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ এছাড়া তাদের বয়স নিয়েও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না৷'