একে তো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একেবারে জেতা ম্যাচে হার, তার ওপর ফ্লাইটে প্রায় ৫ ঘণ্টার বিলম্ব। কিংসটাউন পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই শরীর আর মন দুটোই বিধ্বস্ত বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। আগের দিন রাতের পরিবর্তে পরদিন ভোরে টিম হোটেলে পৌঁছানোয় বাতিল করা হয় অনুশীলন। ফলে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে অদৃশ্য কিছু চাপ তৈরি হয়ে আছে শান্তদের ওপর।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলতে নামার আগে কিছুটা ভয় কি ক্রিকেটারদের মনে কাজ করে? করতেই পারে। কদিন আগেই তো- ওয়ানডে বিশ্বকাপে এই দলটির কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। কাগজে-কলমে দুর্বলের তালিকায় থাকায় জুজুর ভয়টা বেশি। জায়ান্ট কিলার বলে খ্যাতিও আছে ডাচদের। সব সংস্করণ মিলিয়ে ৭ বারের দেখায় ৪ বার জয় পাওয়া বাংলাদেশ এবার কি ব্যবধানটা বাড়িয়ে নিতে পারবে?
ভয়ের আরও কিছু ব্যাপার আছে। যেমন কিংসটাউনের আর্নোস ভ্যালে মাঠ। এখানে বল-ব্যাটের লড়াই হয়নি গত ১০ বছর। এমনকি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের কোনো ম্যাচও হয়নি। ফলে ক্রিকেট দুনিয়ার কাছে অনেকটাই অচেনা হয়ে গেছে মাঠটি।
তবে মজার ব্যাপার, এই মাঠে সবশেষ ম্যাচটি খেলেছে বাংলাদেশই। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরের সেই টেস্টে বাংলাদেশ যদিও হেরেছিল। সে ম্যাচে খেলা একমাত্র মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এখনও আছেন দলের সঙ্গে। কিছুটা হলেও ধারণা হয়তো দিতে পারেন তিনি।
আসরে এখন পর্যন্ত দুই দলই খেলেছে দুটি করে ম্যাচ। সমান একটি করে জয় নিয়ে দুই দলেরই পয়েন্ট সমান দুই করে। পরের রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ আছে দুই দলের সামনেই। বলা চলে, এ ম্যাচে জিতলে সুপার এইটে এক পা দিয়ে রাখতে পারবে দুটো দলই। তবে এই সহজ সমীকরণটা জটিল করে তুলতে পারে বৃষ্টি। স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে কিংসটাউনে। সেক্ষেত্রে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হলে বিপদেই পড়ে যাবে শান্ত'র দল।
যেকোনো মূল্যে ম্যাচটা জিততেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। একাদশে আসতে পারে পরিবর্তনও। সৌম্য সরকার ফিরতে পারেন আবারও। দেখা যেতে পারে শেখ মেহেদিকেও। তবে টপঅর্ডার রানখরা না কাটালে, নেদারল্যান্ডসই বড় বাধা হয়ে উঠতে পারে শান্তদের সামনে।