ঈদুল ফিতরের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। ঈদ আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে নগরবাসী ছুটতে শুরু করেছেন বাড়ির পথে।
পদ্মা সেতু চালুর প্রভাবে ঢাকা-বরিশাল নৌ রুটে লঞ্চ যাত্রার জৌলুস কমেছে। ঈদ সামনে রেখে লঞ্চগুলোর আগাম টিকিটও বিক্রি হচ্ছে ঢিমেতালে। আগে যেখানে ১০ থেকে ১২টি লঞ্চ এই রুটে চলাচল করত সেখানে নোঙ্গর করা মাত্র ২টি লঞ্চ। যদিও ভাড়া ১০০ টাকা বাড়িয়ে ডেক শ্রেণীতে নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা, সিঙ্গেল কেবিন ১১০০ টাকা এবং ডাবল কেবিন ২২০০ টাকা।
লঞ্চ মালিকরা বলেন, 'যাত্রী কমে যাওয়ায় লঞ্চ মালিকরা লঞ্চ পরিচালনা করতে হিমশিম খাচ্ছে।'
তবে ভিন্ন চিত্র সড়কপথে। ঢাকা-বরিশাল রুটের আগাম টিকির বিক্রি শতভাগ শেষ। এমনকি ফিরতি টিকিট বিক্রিও প্রায় শেষের পথে। পর্যাপ্ত যাত্রীচাপ সামলাতে সংযোজন করা হয়েছে অতিরিক্ত বাস। তারপরেও বেড়েছে ভাড়া। নন এসি বাসের ভাড়া আগে ৫০০ টাকা থাকলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৫২০ থেকে ৫৫০ টাকা। এসি ইকোনমি ক্লাসের ভাড়া আগে ৭০০ থাকলেও এখন ১০০০ টাকা। তবে বাড়েনি বিজনেস ক্লাসের ভাড়া। বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকায়।
এদিকে প্রতিদিন চাঁদপুর লঞ্চঘাট দিয়ে অর্ধশতাধিক লঞ্চে যাতায়াত ৮ থেকে ১০ হাজার মানুষের। ঈদের সময় যে সংখ্যা ছাড়ায় লক্ষাধিক। তবে বর্তমানে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে আধুনিক বন্দর নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, ঈদ ঘিরে সংস্কার ও গ্যাংওয়ে নির্মাণসহ রাস্তা মেরামত করা হচ্ছে। যদিও ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। তাই এই পথে চলাচলে চরম ভোগান্তির শঙ্কা করছে যাত্রীরা।
চাঁদপুর জেলা বন্দর কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, '৬ মাস যাবত আধুনিক লঞ্চ টার্মিনালের নির্মাণ কাজ চলছে। একই জায়গায় টার্মিনাল নির্মাণ এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে এবার আমাদের বেগ পেতে হবে।'
এবারের যাত্রায় গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাঁচটি স্থানকে যানজট প্রবণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেসব জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা। থাকবে পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য। যদিও প্রতিবছরই ব্যবস্থা নেয়ার পরেও ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের। তবে এবারে বিআরটি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন এ পথে চলাচলকারী। তবে সড়কের বিভিন্ন স্থানে এখনও নির্মাণ কাজ চলমান থাকায় ভোগান্তির আশঙ্কা রয়েছে।
গাড়ি চালকরা বলেন, 'স্থানীয় যেই গাড়ি আছে তারা ব্রিজ থেকে নেমে দাড়িয়ে থাকে। গাড়িগুলোর দাড়ানোর নিদিষ্ট জায়গা না থাকায় যানজট হয়।'
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আলমগীর হোসেন বলেন, 'আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে। আমাদের দশটা রেকার গাড়ি থাকবে। কোনো গাড়ি রাস্তায় নষ্ট হয়ে গেলে সাথে সাথে যেন অপসারণ করে যান চলাচল স্বাভাবিক করা যায়। পাশাপাশি অবৈধ পার্কিং এবং ফুটপাত দখলমুক্ত রাখার জন্য আমরা বিশেষ টিম করেছি।'
নাটোরের সড়ক মহাসড়ক ঘিরেও নেয়া হয়েছে পরিকল্পনা। ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ স্পীডগান বসিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে দ্রুতগতির যানবাহন। তবে মহাসড়কে ছোট যানবাহন ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা দুর্ঘটনা ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।