বাংলাদেশের হারটা অনুমেয়ই ছিল। কারণ পুরো ম্যাচে টসটাই যেন ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে স্বাগতিকদের ক্যাচ মিসের মহড়া না থাকলে ফলাফলটা হয়ত অন্যরকমও হতে পারতো।
মাত্র ৬ রান করার পর আসালাঙ্কাকে সাজঘরে পাঠানোর সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তার ক্যাচ ফেলেছেন লিটন দাস। ইনিংসে জীবন পেয়ে লঙ্কানদের জয়ের ভিত রচনা করেছেন ইনফর্ম এই ব্যাটার। আর সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন নিশাঙ্কাকে।
স্টেডিয়ামে শিশির থাকায় বল গ্রিপ করতে খানিকটা অসুবিধায় পড়তে হয়েছে স্বাগতিকদের। সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছেন দুই ব্যাটার। পেস কিংবা স্পিন। কোনোভাবেই তাদের ঘায়েল করা যাচ্ছিলো না। এদিন চট্টগ্রামের ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি উইকেটের ফায়দা লুটেছেন দু'জনে। বড় জুটি ভাঙতে কয়েকবার বোলিংয়ে পরিবর্তন এনেছেন শান্তু। সেট ব্যাটার নিশাঙ্কাকে ফেরানোর সুযোগও এসেছিল। তবে আবারও ক্যাচ মিস। এবার স্পটলাইটে বাংলাদেশ অধিনায়ক। তারপরই শতক হাঁকিয়েছেন লঙ্কান এই ব্যাটার।
কিছুক্ষণ পর তাকে সাজঘরের পথ দেখান মেহেদী মিরাজ। খানিকবাদেই নার্ভাস নাইনটিজের শিকার হন আসালাঙ্কা।
স্বল্প সময়ের মধ্যে দুটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে লঙ্কানরা। কিন্তু হাসারাঙ্গা আর ওয়েল্লালাগে দেখেশুনে খেলে দলের জয়টা নিশ্চিত করেন। যদিও শেষদিকে হাসারাঙ্গা বিদায় নেন।।
এদিকে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। গত ম্যাচের মতো এবারও রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ লিটন দাস। দ্রুত উইকেট হারালেও সৌম্য আর শান্ত মিলে চাপ সামলে নিয়েছেন। বাংলাদেশের হয়ে রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছেন সৌম্য সরকার। যদিও ফিফটি করার পর ইনিংসটা দীর্ঘায়িত করতে পারেননি। স্বাগতিকদের সংগ্রহ আড়াইশো পাড় করতে বড় ভূমিকা রেখেছেন তাওহীদ হৃদয়। হৃদয় জুড়ানো ব্যাটিংয়ে তিনি অপরাজিত ছিলেন ৯৬ রানে। যদিও তার ইনিংসটা বিফলে গেছে। কারণ ম্যাচে ২৮৬ রানের পুঁজি দলের জয়ের জন্য যথেষ্ঠ ছিল না।