ফুটবল
এখন মাঠে
0

নারী ফুটবলারদের সাফল্যে সংবর্ধনার জোয়াড়

সাফে সিনিয়র কি বয়সভিত্তিক সাফল্য আসলেই একের পর এক সংবর্ধনা পায় মেয়েরা। দেশের বিভিন্ন ছোট-বড় প্রতিষ্ঠান সংবর্ধনার নামে বিশেষ উপহার থেকে অর্থ পুরস্কার কতটা কাজে আসে নারীদের! এমনভাবে পুরস্কৃত না করে লেখাপড়ার সময়ে পাশে থাকলে বেশি উপকার হবে বলে বিশ্বাস নারী ফুটবলারদের। তবে, এক্ষেত্রে ভিন্নমত নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণের।

জুনিয়র থেকে সিনিয়র পর্যায়ে নারীদের কারিশমায় দেশের ফুটবলে সাফল্যের জোয়াড়। একের পর এক ট্রফিতে দেশের মাটিতে হয়েছে আনন্দ উল্লাস। সাফে জাতীয় দল থেকে বয়সভিত্তিক যেকোন টুর্নামেন্টে বিজয়ের হাসিতে সংবর্ধনার জোয়াড়ে ভাসে লাল সবুজ দেশের কন্যারা। প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশেষ উপহার কিংবা অর্থ পুরস্কারে দিনশেষে নারীদের কি খুব বেশি কাজে আসে!

গেল বছরের আগে জাতীয় দলে খেলা নারীদের বেতন কাঠামো খুব বেশি ছিল না। তবে ২০২৩ সালে খেলোয়াড়ভেদে বেতন সর্বোচ্চ পাঁচগুণ বৃদ্ধিতে কিছুটা স্বস্তিতে আছে নারী ফুটবলাররা। সাবিনা খাতুনসহ ১৫ ফুটবলারকে ৫০ হাজার আর বাকিদের ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা বেতন দিয়ে থাকে ফেডারেশন।

তবে জুনিয়দের কি হাল? বেতন না পাওয়া নারী খেলোয়াড়দের লেখাপড়ার খরচ চালাতে হিমশিম খায় তাদের পরিবার। সংবর্ধনার নামে এমন পুরস্কারের পরিবর্তে নারীদের পাশে থাকতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে লেখাপড়ার সময়ে পাশে থাকার দাবি অনেক ফুটবলারদের।

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার বলেন, 'পরিবার আমাদের সেভাবে সাপোর্ট করতে পারে না। আমাদের সবার পরিবারের আর্থিক অবস্থা সেভাবে ভালো না। আমাদের পড়াশোনার দিক যদি কেউ দেখভাল করতো তা খুবই ভালো দিক হতো।'

খেলোয়াড়দের এমন আবদারে নাখোশ নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ। তিনি জানান, নারীদের লেখাপড়া চালাতে সাধ্যমতো পাশে থাকে ফেডারেশন।

কিরণ বলেন, 'ওদের পড়াশুনার খরচের জন্য কারও সাথে কখনও এপ্রোচ করিনি। মেয়েদের লেখাপড়া বাফুফের পক্ষ থেকেই করানো হয়। ওদের মধ্যে যারা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে তাদের কোনো খরচ দিতে হয় না। বাফুফে বহন করে সব খরচ।'

ফুটবলারদের সাফল্যে শুধু সংবর্ধনায় মেতে থাকলে সেটা দিনশেষে নারীদের কতটা উপকারে আসবে তা ভাবার সময় হয়তো অনেক আগেই হয়েছে। সময়মতো সংশ্লিষ্টরা মাথা ঘামালে হয়তো সিরাত জাহান স্বপ্না, আখি খাতুনদের মতো সেরা ফুটবলারদের হারাতে হতো না বাংলাদেশকে।

এসএস