চট্টগ্রামের আমিন কলোনি ও পাহাড়তলী বাজারে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার। এসময় পেঁয়াজ নিয়ে নানা কারসাজি ও মজুতদারির প্রমাণ পাওয়ায় ব্যবসায়ীদের ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন ব্যবসায়ীরা।
চট্টগ্রাম ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ফয়েজ উল্লাহ বলেন, ‘আগের পেঁয়াজও ১৮০/১৯০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু তালিকায় লিখে রেখেছে তাদের কাছে পেঁয়াজ নেই। এমন অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জরিমানা করা হয়েছে।’
পেঁয়াজের দাম নিয়ে অস্থিরতা ভোলার বাজারেও। খুচরায় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে। অভিযান চালিয়ে ৫ ব্যবসায়ীদের ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার।
ভোলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আগের যে পেঁয়াজ তাদের কাছে ছিল সেই পেঁয়াজ ১১০ টাকায় বিক্রির ব্যবস্থা করেছি। এই অভিযান আমাদের অব্যাহত আছে।’
উত্তরের জেলা নাটোরে কারসাজি করে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছিল একদল অসাধু ব্যবসায়ী। খবর পেয়ে আজ অভিযান পরিচালনা করতে যায় ভোক্তা অধিকারের কর্তারা। এসময় অভিযানের খবরে পেঁয়াজ ফেলে রেখে পালিয়ে যায় বিক্রেতা।
নাটোর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদি হাসান তানভির বলেন, ‘এখানের ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম নির্ধারণ করছে। কেউ কেউ ২২০ থেকে ২৫০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। এসব প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।’
পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতেও অতিরিক্ত দামে পেয়াঁজ বিক্রি করায় এদিন ২ ব্যবসায়ীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার। বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং অব্যাহত রাখার দাবি ভোক্তাদের।