বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগী। তারওপর চিকিৎসকরা সময়মতো চেকআপও করছেন না বলে অভিযোগ রোগীর স্বজনদের।
২৫০ শয্যার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা হয় ২০১৯ সালে। কিন্তু হাতেগোনা কয়েকজন চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যা বাড়ানো ছাড়া তেমন কোনো পরিবর্তন ঘটেনি এই সেবাকেন্দ্রে। বিপরীতে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ। বর্তমানে ২৯৯ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও আছেন ২২৮ জন। এই হাসপাতালে গেলো অক্টোবরে গড়ে প্রতিদিন রোগী ভর্তি ছিলেন ১৬০০ থেকে ১৮০০ জন।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. সুদিপ পাল জানান, 'রোগীর চাপ এতটাই বেশি যে সেবা দিতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছি। রোগীর চাপ সামলাবো, নাকি চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দিবো? সবদিক থেকেই সমস্যা বোধ করি আমরা।'
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ড. সুহাস রঞ্জন হালদার এখন টেলিভিশনকে জানান, 'উপজেলা লেভেলে আমাদের চিকিৎসকদের যে ধরনের পদায়ন থাকা উচিত সেটি নেই। হাসপাতালে রোগীদের বেড দিতে পারছি না। একজন শ্বাসকষ্টের রোগীকেও আমরা বেড দিতে পারছি না।'
অন্যদিকে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলো কয়েক বছরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও রয়েছে নানা সমস্যা। দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অপারেশন থিয়েটার। এক্স-রে আর আল্ট্রাসোনোগ্রাম মেশিনও নষ্ট পড়ে আছ অনেকদিন ধরে। তাই প্রাথমিক চিকিৎসা ছাড়া এখান থেকে তেমন কোনো সেবা মেলে না।
একই পরিস্থিতি রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরও। সাধারণ কিছু রক্ত পরীক্ষা ছাড়া এ হাসপাতালে নেই তেমন কোনো রোগ নির্ণায়ক যন্ত্র। এছাড়া ১২ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের জায়গায় কাজ করছেন মাত্র তিনজন।
প্রতিদিন ধারণক্ষমতার চাইতে অতিরিক্ত রোগী সেবা দিতে হচ্ছে বলে জানান বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. অভিজিৎ মল্লিক। মৌখিকভাবে এক্স-রে মেশিন পাওয়ার আশ্বাস পেয়েছেন বলে জানান রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরেক আরএমও ডা. পিকিং শিকদার।
এমন নানা সংকট ও সমস্যার মধ্য দিয়ে চলছে জেলার ৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবা কার্যক্রম। যার প্রভাব পড়ছে নগর স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে।




