মার্কিন রণতরী মোকাবিলায় প্রস্তুত হিজবুল্লাহ

মার্কিন রণতরি
মার্কিন রণতরি | ছবি: সংগৃহীত
0

গাজায় সংঘাত চলতে থাকলে এই অঞ্চলে অচিরেই যুদ্ধ শুরু হবে, যা কেউ থামাতে পারবে না।

মার্কিন রণতরী মোকাবিলায় প্রস্তুত রাশিয়ার জাহাজবিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র। ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া বাহিনীর বরাত দিয়ে জানানো হয়, হিজবুল্লাহর কাছে রাশিয়ার তৈরি শক্তিশালী ইয়াখোন্ত ক্ষেপণাস্ত্র আছে। লেবাননে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া হিজবুল্লাহর সেকেন্ড কমান্ড শেখ নাইম কাশেম জানান, গাজায় সংঘাত চলতে থাকলে এই অঞ্চলে অচিরেই যুদ্ধ শুরু হবে, যা কেউ থামাতে পারবে না।

এক দশকের বেশি সময় আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সহযোগিতায় ইয়াখোন্ত ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছিল সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এরপর থেকেই এ ক্ষেপণাস্ত্র সশস্ত্র গোষ্ঠীটির কাছে আছে। গাজার সংঘাতকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি বাড়ায় এবার মার্কিন রণতরীর হুমকি মোকাবিলায় এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করবে হিজবুল্লাহ। একইসঙ্গে আঞ্চলিক যুদ্ধের সম্ভাবনা প্রতিহত করা হবে। গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনকে ইঙ্গিত করে হিজবুল্লাহ প্রধান সৈয়দ হাসান নাসারাল্লাহ জানান, মার্কিন রণতরির জন্য চমকপ্রদ কিছু মজুদ রাখা আছে।

লেবাননের বিভিন্ন সূত্র বলছে, হিজবুল্লাহর কাছে অনেক জাহাজবিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র আছে। যেগুলোর মধ্যে রাশিয়ার ইয়াখোন্ত হামলা করতে সক্ষম ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। ওয়াশিংটন বলছে, হামাস-ইসরাইল সংঘাত যেন পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য এই অঞ্চলে রণতরী মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে যুদ্ধজাহাজগুলোকে সরাসরি নিজেদের জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।

হাসান নাসারাল্লাহ জানান, ভূমধ্যসাগরের কোন রণতরীকে ভয় পায় না হিজবুল্লাহ। ২০০৬ সালের পর থেকে রণতরি প্রতিহত করতে হিজবুল্লাহ'র সক্ষমতা অনেক বেড়েছে।

নানামুখী অস্থিরতার মধ্যে হিজবুল্লাহর সেকেন্ড ইন কমান্ড শেখ নাইম কাশেম সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানান, এই অঞ্চলে যুদ্ধের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে গেছে। ইসরাইল গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে পুরো অঞ্চলকে বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। লেবাননে যদি একজন বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়, তাহলে প্রতিশোধ নেয়া হবে।

সেজু