বাজার , গ্রামীণ কৃষি
কৃষি
ঝালকাঠির যে বাজারে নেই মধ্যস্বত্বভোগী
ঝালকাঠি সদরের বিনয়কাঠিতে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়াই চলছে বাজার। যে বাজারে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত শাক ও সবজিসহ বিভিন্ন ফসল সরাসরি বিক্রি করেন পাইকারদের কাছে।

ঝালকাঠি ও বরিশালের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পণ্য কিনতে সপ্তাহের শুক্র ও সোমবার হাটে ভিড় করেন ব্যবসায়ীরা। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে বেচা-কেনা। দুই দিনে গড়ে ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকার সবজি কেনাবেচা হয়। নিজেদের উৎপাদিত পণ্য এ বাজারে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করতে পেরে লাভবান হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। এছাড়া কোন খাজনা না থাকায় কম খরচে পণ্য কিনতে পেরে খুশি পাইকাররাও।

কৃষক ও পাইকাররা বলেন, এ বাজারটা হওয়াতে আমরা বেচাকেনা করে শান্তি পাই। এলাকায় যারা কৃষি কাজ করে তাদের উৎপাদিত পণ্য এখানে বিক্রি করা হয়। বাজারে কোন খাজনা নাই, তাই জিনিস ক্রয়বিক্রয় করে আমরা সুবিধা করতে পারি।

কৃষকদের সুযোগ-সুবিধার জন্য রয়েছে বাজার পরিচালনা কমিটি। বাজারের পরিচ্ছন্নতার ব্যয় বহন করেন স্থানীয় দোকান মালিক ও কৃষকরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, 'কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদেরকে উদ্বুদ্ধ ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। যাতে তারা নিরাপদ ও বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করতে পারে। এ বাজারে সেই সবজি সহজেই বিপণন করতে পারছে এবং নিরাপদ হওয়ার কারণে চাষিরা দামও বেশি পাচ্ছে।'

বিষমুক্ত ও নিরাপদ সবজির সরবরাহ এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য না থাকায় দিন দিন হাটের পরিসর বড় হবে বলে আশা স্থানীয়দের।

এভিএস