সংবাদ মাধ্যম আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার সত্যি হতে যাচ্ছে ইউক্রেনে ন্যাটোর সেনা মোতায়েন। যদিও তা অস্বীকার করেছে ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
রাশিয়ার সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিলেও কখনো কিয়েভে সরাসরি সেনা পাঠায়নি পশ্চিমা বিশ্ব। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বরাবরই হুশিয়ারি ছিল ইউক্রেনে সেনা পাঠালে ন্যাটোর সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে রাশিয়া।
যদিও গেল মাসেই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেন, মস্কোর বিরুদ্ধে লড়তে প্রয়োজনে কিয়েভে যাবে ফ্রান্সের সেনারা। এই বক্তব্যের চরম বিরোধিতা করে নড়েচড়ে বসে পশ্চিমা বিশ্ব।
এরপরও আশঙ্কার কথা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। সংবাদ মাধ্যম আরটি'তে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, প্যারিস স্বার্থ সুরক্ষায় কঠিন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। দেশটির সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারলে পিয়েরে শিল জানান, যেকোনো পরিস্থিতিতে ফ্রান্সের সেনারা প্রতিক্রিয়া জানাবে। যেকোনো অপারেশন পরিচালনার সক্ষমতা ফ্রেঞ্চ সেনাবাহিনীর আছে বলেও জানান তিনি।
জেনারেল জানান, ফ্রান্সের এখন ২০ হাজার সেনা ৩০ দিনের মধ্যে মোতায়েনের সক্ষমতা আছে, ন্যাটোর সহায়তায় যৌথভাবে ৬০ হাজার সেনা মোতায়েন করতে পারবে।
এদিকে রাশিয়ার বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা প্রধান সের্গেই নারিশকিনের দাবি, অন্তত ২ হাজার সেনা প্যারিস থেকে কিয়েভে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত।
রুশ সেনাবাহিনী আগে থেকেই দাবি করছে, ফ্রেঞ্চ সেনারা কিয়েভে যুদ্ধ করছে। তাদের দাবি, জানুয়ারিতে ৬০ জনেরও বেশি ভিনদেশিকে হত্যা করা হয়েছে যাদের ফ্রান্সের নাগরিক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক।
গোয়েন্দা সংস্থা প্রধানের দাবি, ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়ে আতঙ্কে আছে খোদ দেশটির সেনাবাহিনীই। কারণ ফ্রেঞ্চ সেনারাই হবে রাশিয়ার প্রথম লক্ষ্য আর রুশ সেনাদের চোখ এড়িয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়াকে অসম্ভব হিসেবে দেখছে ফ্রান্সের সেনাবাহিনী।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দাবি, পশ্চিমা সেনারা ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ হারাচ্ছে। পাশাপাশি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুশিয়ারিও দেন তিনি।