দীর্ঘ ৫০ বছরের বেশি বয়স দেশের এই সুইপিংপুলের। সাঁতারুদের বিচরণ আর প্রতিযোগিতায় সবসময়ই আইভি রহমান সুইমিংপুলটি মুখরিত থাকতো। কিন্তু অবহেলা আর অযত্নে সুইমিংপুলটি সঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে না। আর এতে দেশের সাঁতারুরা সবচেয়ে বেকায়দায় পড়েছে।
সাবেক সাঁতারু লায়লা নূর বলেন, 'এই পুলটাতে শুধু অল্প কিছুদিনের জন্য প্রশিক্ষণ করানো হয়। এতো টাকার সুইমিংপুল শুধু এইটুকু ব্যবহারের জন্য নয়। এটি ফেডারেশনের সুইমিংপুল করে আরও ব্যবহার উপযোগী সম্ভব।'
বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এম বি সাইফ বলেন, ‘ফিল্টারিং সিস্টেম না থাকার কারণে প্রতি সপ্তাহে পানি পরিবর্তন করা লাগে, এটি কঠিন ব্যাপার। ছোটখাটো বিষয়গুলো সুইমিং ফেডারেশন করে। কিন্তু মূল রক্ষণাবেক্ষণ ক্রীড়া পরিষদ করে।’
মিরপুরে দেশের জাতীয় সুইমিংপুলেরও একই অবস্থা। পানি ছাড়া সুইমিংপুল ভিত্তিহীন। শীতকালীন সময়ে পানির উষ্ণতা রক্ষার্থে পুরোপুরি ব্যর্থ হওয়ায় পানিবিহীন সুইমিংপুলটি শান্ত থাকে। এক্ষেত্রে ফেডারেশনের অনেকটা দায়সারা মনোভাবই প্রকাশ পেয়েছে।
এম বি সাইফ আরও বলেন, ‘১১ বছর ধরে সুইমিং ফেডারেশনের সাথে আছি। কোনদিন বিদ্যুৎ-গ্যাস বিল আমাদের কাছে চায়নি আর আমরাও দিইনি।’
ঢাকার দুই সুইমিংপুলের বিদ্যুৎ বিল বাবদ বছরে ফেডারেশনের প্রায় ৩৬ লাখ টাকা খরচ হয়। ফেডারেশনকে ক্যাম্প করতে মাসিক ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকার বিশাল অঙ্কের হিসেব কষতে হয়। তবে সে অঙ্কটা সাঁতারুদের সংখ্যা অনুযায়ী কম-বেশি হয়।
সুইমিংপুলে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বছরে ফেডারেশনের লাভের অঙ্ক খুব বেশি নয়। যা বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে খরচ হয়। আর ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের বাজেটে সুইমিংপুল ফেডারেশনের জন্য ২০ থেকে ২৪ লাখের মতো বরাদ্দ থাকে।
দেশের সাঁতারে আরও বেশি অগ্রগতির জন্য কাজ শুরু করার কথা জানান ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক। তবে তার জন্য মোটা অংকের টাকা প্রয়োজন।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এম বি সাইফ বলেন, ‘চলতি বছরের জুন-জুলাইয়ের দিকে একটি ট্যালেন্ট হান্ট প্রোগ্রাম করে সাঁতারুদের ১০ বছরের পরিকল্পনায় আনার চেষ্টা করবো। এজন্য বছরে ৫ থেকে ৭ কোটি টাকা লাগবে।’