টাঙ্গাইল শহরের পারদিঘুলীয়ায় কাজী মেহেরাফ হোসেন কৌশিক। ছোটবেলা থেকেই বেশ আগ্রহ ছিল পশুপাখির প্রতি। আর সেই আগ্রহ থেকেই গড়ে তুলেছেন বিদেশি জাতের মুরগির খামার।
আড়াই বছর ধরে এই খামারে শোভা পাচ্ছে স্পেন, জাপান, তুর্কি, চীন, ইন্ডিয়া, আমেরিকাসহ প্রায় ১০টি দেশের বিভিন্ন রঙের ২৭ প্রজাতির মুরগি। জোড়া প্রতি এসব মুরগি বিক্রি হয় ২ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত। সহায়তা পেলে বড় পরিসরে খামার করার কথা জানান তিনি।
বিদেশি মুরগির খামারি কাজী মেহেরাফ হোসেন কৌশিক বলেন, ‘আমি সিল্কি মুরগি দিয়ে প্রথমে শুরু করি তারপর দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আরো বিদেশি মুরগি এনে খামার বড় করেছি। আমার কাছে এখন প্রায় ২৭ প্রজাতির মুরগি আছে।’
অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র কৌশিকের কাছ থেকে মুরগির বাচ্চা নিয়ে ছোট পরিসরে খামার করেছেন বেশ কয়েকজন নতুন উদ্যোক্তা। পরামর্শ অনুযায়ী পালন করে সফলতার মুখ দেখছেন তারা।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, শৌখিন মুরগী পালন বেকার সমস্যা দূরীকরণের ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি সরকারি সহযোগিতায় বিদেশেও রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যাবে।
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নাজমুস সাদেকীন বলেন, ‘যেহেতু শৌখিন মানুষরা এসব মুরগি কিনে থাকে, তাই কিছু এসব মুরগি ভালো দামে বিক্রি হয়। আমরা যদি স্থানীয় ও সরকারি সহযোগিতা দিতে পারি তাহলে আগামীতে এ ধরনের মুরগি ব্রিডিং করে বাহিরেও রপ্তানি করা যেতে পারে।’
দেশি-বিদেশি মুরগির কর্মসংস্থানের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলছে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ। ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদনসহ কৌশিককে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘অনেক বেকার যুবকেরা এসেছে আমার কাছে পরামর্শ নেওয়ার জন্য আমরা তাদের পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া হ্যাচিং এর মাধ্যমে যার কাছে এই বিদেশি মুরগি আছে তার থেকে অন্যদেরকেও বাচ্চা দেয়ার ব্যবস্থা করছি।’
শুধু মুরগি নয়, কৌশিকের কাছে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ, কবুতর ও বিদেশি বিড়াল।