বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ধাপ শুরু

দেশে এখন
0

বাদ যোহর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ধাপ। আজ (সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি) যোহরের নামাজের পর আম বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক। তাৎক্ষণিক বয়ানের তরজমা (অনুবাদ) করেন মাওলানা নুরুর রহমান। এর আগে গতকাল (রোববার) সকাল সাড়ে ৯টায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় শুরায়ী নেজামের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম ধাপ।

মোনাজাত শেষে প্রথম ধাপে অংশগ্রহণকারী মুসল্লিরা ময়দান ত্যাগ করেছেন। পরে দ্রুত সময়ের মধ্যে সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় মাঠ প্রস্তুত করা হয়। বিকেল হতেই দ্বিতীয় ধাপের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। আজও (সোমবার) সকাল হতে বিভিন্ন জেলা হতে মুসল্লিরা দলবেঁধে ময়দানে আসছেন।

ইতোমধ্যে মধ্যে ৭২টি দেশ থেকে ৩ হাজার ২৫৬ জন বিদেশি মেহমান ময়দানে অবস্থান করছেন। ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা শেষে তারা নিজ দেশে ফিরবেন।

সোমবার সকাল ১০টা থেকে নজমের জামাতের সাথিদের উদ্দেশ্যে বয়ান করেছেন ভারতের মাওলানা আহমেদ হোসাইন। বয়ানে ইজতেমার পুরো সময় কীভাবে পার করবে সেসব নিয়ে দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা করা হয়।

তাবলীগ জামাত বাংলাদেশের শুরায়ি নেজাম মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, দ্বিতীয় ধাপে অংশগ্রহণকারীদের জন্য মাঠ পুরোপুরি প্রস্তুত। এই ধাপে মোট ৪০টি খিত্তায় ঢাকার একাংশসহ ২২টি জেলার মুসল্লিরা অংশ নিচ্ছেন।

ঢাকার যাত্রাবাড়ী, কেরানীগঞ্জ ও মোহাম্মাদপুর; মুন্সীগঞ্জ, জামালপুর, মানিকগঞ্জ, জয়পুরহাট, সিলেট, সিরাজগঞ্জ, মেহেরপুর, টাঙ্গাইল, পাবনা, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, কক্সবাজার, নোয়াখালী, গোপালগঞ্জ, ঝালকাঠি, বরগুনা, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, নওগাঁ ও বান্দরবন জেলার মুসুল্লিরা অংশগ্রহণ করছেন।

তিনি আরো বলেন, ‘আসরের নামাজের পর বয়ান করবেন বাংলাদেশের মাওলানা রবিউল হক এবং মাগরিবের নামাজের পর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা আহমেদ লাট।’

এদিকে, বিদেশি মেহমানদের ভোগান্তি এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে বিদেশি খিত্তার পাশে সাধারণ ডায়েরি করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার নাজমুল করিম খান বলেন, ইজতেমা নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অব্যাহত রাখা হয়েছে। ময়দান ও চারপাশের এলাকা ২৩৫টি সিসি ক্যামেরা ও বাইনোকুলার দিয়ে মানুষের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

জিএমপি কমিশনার বলেন, গতকাল মোনাজাতের সময় পাবলিকের ড্রোনের ধাক্কায় বেলুন ফেটে আতঙ্ক তৈরি হয়। তাই ড্রোন ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ইজতেমা ময়দানের দুই কিলোমিটারের মধ্যে অনুমতি ছাড়া কেউ ড্রোন উড়াতে পারবেন না।

এএইচ