দেশে এখন
0

ইভিএম বাতিল ও নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় জামায়াত

ইভিএম বাতিল ও নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় জামায়াত। দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী না থাকাসহ রাষ্ট্র সংস্কারে ১০ প্রস্তাবনা দিয়েছে দলটি। আজ (বুধবার, ৯ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে 'রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাবনা' উপস্থাপন করেন জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। এসময় জামায়াতের আমির বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের পরই নির্বাচনের পক্ষে তাদের অবস্থান।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর রাষ্ট্র সংস্কারে ৫টি কমিশন গঠন করে। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয় রাজনৈতিক দলগুলোর। অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলোও সংস্কার নিয়ে নানা প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্র সংস্কারে প্রস্তাবনা দিলো। আজ রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে জামায়াতের পক্ষ থেকে ১০ টি বিষয়ের সংস্কার প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন দলটির নায়েবে আমির।

আইন ও বিচার বিভাগের সংস্কারে, বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক, বিচারপতি নিয়োগের জন্য সুষ্ঠু ও সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন, সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল, বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ প্রতিষ্ঠা, সুপ্রিম কোর্টের অধীনে আলাদা সচিবালয় প্রতিষ্ঠাসহ ১০ টি প্রস্তাবনা দেয় দলটি। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য রাখার পাশাপাশি একই ব্যক্তি পরপর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। বলেও প্রস্তাবনা দেয় দলটি।

সংসদের প্রধান বিরোধীদল থেকে একজন ডেপুটি স্পিকার মনোনয়ন ও সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার নেতৃত্বে ছায়া মন্ত্রিসভা গঠনের ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তাবনা দেয়া হয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক ব্যবস্থা রাখার পাশাপাশি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল ও ইভিএম ভোটিং ব্যবস্থা বাতিল করার প্রস্তাবনা দেয় জামায়াত।

বাংলাদেশ জামায়াতের ইসলামী নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করতে হবে।’

সংস্কার প্রস্তাবনায় বলা হয়, পুলিশ সদস্যদের নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি এবং চাকরিচ্যুতির জন্য স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনসহ চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আগামী ২ বছরের জন্য ৩৫ বছর ও পরবর্তী বয়সসীমা স্থায়ীভাবে ৩৩ বছর এবং অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘নিয়োগ, বদলি ও চাকরিচ্যুতির ক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক ব্যক্তির সুপারিশের সুযোগ রাখা যাবে না।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দলটির আমির বলেন, সকল মতের প্রতিনিধিত্ব করে এমন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। রাষ্ট্র সংস্কারের পরই নির্বাচন দিতে হবে বলে জানান জামাতের আমির ডা. শফিকুর রহমান।

তিনি বলেন, অতি সংক্ষিপ্ত করতে গিয়ে তারা প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে পারলেন না তাহলে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত হবে না। এইটা নিশ্চিত করতে হবে যেন নির্বাচনে পেশিশক্তি বা টাকার খেলা না ঘটে।

এছাড়া ঐতিহাসিক আন্দোলন-সংগ্রাম ও মূল্যবোধের আলোকে বিভিন্ন ধরনের চলচ্চিত্র নির্মাণ এবং সকল শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে ধর্মীয় মূল্যবোধ বিরোধী উপাদান বাদ দেয়ার প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।

ইএ