দেশে এখন
0

সমন্বয়ক নামে অনৈতিক সুবিধা আদায়ের অভিযোগ বসিকের

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে (বসিক) 'ছাত্র' ও 'সমন্বয়ক' নামে অনৈতিক সুবিধা আদায়ের অভিযোগ করেছেন করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সমস্যা সমাধানে ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছেন তারা। এর মধ্যে সমাধান না হলে কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা তাদের। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনের সমন্বয়ক বলছেন, কেউ নিপীড়ন করলে তাকে প্রতিহত করতে হবে।

সারাদেশের মত বরিশালেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সরব ছিল রাজপথ। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বি এম কলেজসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কলেজ ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে। আন্দোলন পরবর্তী সময়ে সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব পালন করার বিষয়টি ব্যপক প্রশংসা কুড়িয়েছিল।

কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের অভিযোগ, শিক্ষার্থীরা দাপ্তরিক ফাইলপত্র ঘাটাঘাঁটি করছে, নিয়োগ বদলি নিয়ে তদবির করছে, ইজারা ও ঠিকাদারি নিয়ে নানা অনৈতিক আবদারও করছে। এসব না মানলে দেয়া হচ্ছে হুমকি-ধামকি।

একজন কর্মকর্তা বলেন, 'কতিপয় ব্যক্তি নিজেদের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে প্রতিনিয়ত সিটি করপোরেশনে এসে অযাচিত হস্তক্ষেপের মাধ্যমে আমাদের বিভিন্ন গোপন নথি চাচ্ছে। অফিসে এসে আমাদের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।'

বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলে এবং মন্ত্রণালয়ে অবগত করা হয়েছে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার।

তিনি বলেন, 'আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তাদের নির্দেশক্রমে আমরা ভ্যবস্থা নেবো।'

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর দাবি সিটি কর্পোরেশনে দীর্ঘ দিন ধরে নানা অনিয়ম হচ্ছিলো। এ বিষয়ে কথা বলায় তাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব হাসান বলেন, 'আমারকাছে যে প্রমাণগুলো রয়েছে সে অনুযায়ী আমরা দেখতে চাচ্ছিলাম। এখন মেইনলি তারা চাচ্ছে যে, আগেও অরাজকতা করেছে এখনও করবে এর সাথে মানুষকে হয়রানি করবে। তারা যেন দুর্নীতি করতে পারে সেজন্য তারা এখনও কাজগুলো চালিয়ে যাচ্ছে। সোর্সের মাধ্যমে আমাদের কাছে প্রমাণ আসছে যে এই গ্রহকের এই সমস্যা, এর প্রেক্ষিতে মরা অভিযোগ জানিয়েছি।'

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক সুজয় শুভ বলছেন, অনেকে ব্যক্তিগত সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করছে। তবে কেউ নিপীড়ন করলে তাকে প্রতিহত করতে হবে।

সুজয় শুভ বলেন, 'শিক্ষার্থীদের মধ্যেও একটা গোষ্ঠী আছে যারা ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা করছে। এবং এটা করবেও। ফলে কে বৈধ সমনব্য়ক, কে আন্দোলনে ছিল এটা গুরুত্বপূর্ণ না। যে আপনার ওপর নিপীড়ন চালাবে তাকে প্রতিহত করতে হবে। আমরা তো এবকটা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চেয়েছি।'

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ নিয়ে সিটি করপোরেশনের প্রশাসক বরাবর লিখিত দিয়েছেন। এর অনুলিপি দেয়া হয়েছে পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও সেনা ক্যাম্পে। এর আগে গত সোমবার (৭ অক্টোবর) বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে অপসারণের দাবিতে সিটি কর্পোরেশন চত্বরে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা।

এসএস