আজ ( বুধবার, ১২ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন আসামিদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
সকাল সাড়ে দশটায় মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানিতে আদালতে হাজির হন ড. ইউনূসসহ অন্য আসামিরা। বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন মামলার অভিযোগ আসামিদের পড়ে শোনান। এসময় অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় ড. ইউনূসসহ ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য গ্রহনের দিন ধার্য করা হয়। তবে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা আসামিদের অভিযোগ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তারা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
ড. ইউনূস সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, তাকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। লোহার খাঁচায় দাঁড় করিয়ে রাখাও অপমানজনক বলে মনে করেন ইউনূস। আর তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, এই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
ড. ইউনূস শ্রমিকদের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তা আদালতে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ করতে পেরেছে দুদক। দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জানান, মামলার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে তাই বিচার শুরুর আদেশ দেয়া হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ৩০ মে ফেব্রুয়ারি ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
১লা ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়৷ মামলার অভিযোগে বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকমের ১০৮ তম বোর্ড সভায় ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মিরপুর শাখা থেকে গুলশান শাখায় ৪৩৭ কোটি ১ লাখ টাকা সরিয়ে নেয়া হয়। এই টাকা থেকে শ্রমিকদের পাওনা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা ড. ইউনূসসহ আসামিরা আত্মসাৎ করেছেন।