মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলার পৌর টাউন হল অডিটোরিয়ামে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে জেলা আতব চাউল ক্রাশিং ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বিনয় কুমার সাহা জানান, শেরপুর জেলা সুগন্ধি চালের জন্য বিখ্যাত। এরই মধ্যে এই সুগন্ধি চাল (তুলশীমালা) ভৌগোলিক নির্দেশক তালিকায় (জিআই পণ্য) স্থান পেয়েছে। অথচ এই সুগন্ধি চাল ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করতে পারছে না। একদিকে ক্রেতার অভাব। অন্যদিকে লোকসান।
ক্রেতার অভাবে পুরাতন তুলশীমালা চাল প্রতিমণ ৪ হাজার ৮০০ টাকার জায়গায় ৩ হাজার ২০০ টাকা এবং চিনিগুড়া চাল ৪ হাজার টাকার জায়গায় ২ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। তারপরেও বাজারে সুগন্ধি চালের চাহিদা নেই। পুরাতন চাল বিক্রি না হওয়ার জন্য ব্যবসায়ীরা নতুন ধান ক্রয় করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সুগন্ধি ধানের বাজার বর্তমানে সিদ্ধ ধানের বাজার মূল্যের নীচে নেমে গেছে। দেশে প্রতিবছর প্রায় ১৮-২০ লাখ টন সুগন্ধি চাল উৎপাদন হয়। যা দেশের চাহিদার তুলনায় কয়েক লাখ টন বেশী। অথচ দেশের রপ্তানি ১০ হাজার মেট্রিক টনের নীচে। ২০২৩ সালের ৩০ জুন থেকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধ রাখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু চালের বাজারে স্থিতিশীলতা আসার পরও দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে এ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়নি। আমরা মনে করি, এ বেহাল অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হচ্ছে সুগন্ধি চাল সীমিত পরিসরে বিদেশে রপ্তানি করা। রপ্তানির ফলে একদিকে সরকারের কোষাগারে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ হবে। অন্যদিকে ব্যবসায়ী ও কৃষক সমাজ উপকৃত হবে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, সহ-সভাপতি আব্দুল হান্নান, সদস্যদের মধ্যে আলহাজ্ব দুলাল মিয়া, সুরেশ চন্দ্র দাস ও এনামুল হক বকুল প্রমুখ।