বসন্ত এলেই ফুলটির দেখা মেলে ডালে ডালে। তবে নগরীর বেশ কিছু জায়গায় দেখা পাওয়া যায় । নজরকাড়া মাধবীলতাকে বরণ করতে পুষ্পপ্রেমীদের মিলনমেলা রাজধানীর রমনা পার্কে ।
নগরজীবনের ব্যস্ততা এড়িয়ে মাধবীর সঙ্গে সখ্যতা গড়তে ছুটে আসা। সেই সাথে স্মৃতির ফ্রেমে বন্দী করে নিচ্ছেন অনেকে।
বাংলা সাহিত্যেও মাধবীলতা বিশেষ মর্যাদা পেয়েছে। তাই তো তাকে ভালোবেসে গান-কবিতারাও ছুঁয়ে যায় পুষ্পপ্রেমীদের প্রাণ।
ঋতুচক্রের পরিক্রমায় ফুলেরা গন্ধ বিলিয়ে যায় প্রকৃতিতে। সে সুবাস কজনইবা পায়? ক'জনইবা চেনে ফুলটিকে? এই শহরে তরুপল্লবের ফুল আর গাছ পরিচিতির এই আয়োজন ক্ষণিকের জন্য ভাসিয়ে নেয় প্রকৃতিতে।
অজস্র ফুটন্ত মাধবীর নজরকাড়া দৃশ্য দেখার ফুরসত মেলে না এই প্রজন্মের অনেকের। তাই তো সঠিকভাবে ফুল চেনা কিংবা প্রকৃতির মাঝে নিজেকে খোঁজে পাওয়ার আকুলতা সবার মাঝে।
পুষ্পপ্রেমীরা বলেন, 'আমরা রমনায় পাখির ডাক-তাজা ফুল দেখতে চাই। কিন্তু সম্প্রতি এখানে কংক্রিটের ব্যবহার বেড়ে গেছে। এখনকার প্রজন্ম হয়তো প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে প্রকৃতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। আমাদের দায়িত্ব তাদেরকে এ ব্যাপারে সচেতন করা।'
ফুল পরিচিতির এমন আয়োজন অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা আয়োজকদের।
তরুপল্লবের সাধারণ সম্পাদক মোকারম হোসেন বলেন, 'আমরা বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে নিয়ে গাছ চেনানোর অনুষ্ঠান করি। মাধবী ফোটার দিনে প্রতিবারই এ অনুষ্ঠানটা করি।'
মাধবীলতার মায়ায় প্রকৃতির মতোই ভরে উঠবে মানুষের হৃদয়। নন্দিত মাধবীকে ছুঁয়ে দেখার মুহূর্ত ফিরে আসবে বারবার। এমন চাওয়া নিসর্গপ্রেমীদের।