বন্দুকযুদ্ধের মাধ্যমে এ ধরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ১১ ছাড়ালো। কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, সাম্প্রতিক সময়ে বিচ্ছিন্নতা্বাদীদের কার্যক্রম কাশ্মীর থেকে জম্মু অঞ্চলে চলে এসেছে।
সেনা কর্মকর্তারা জানায়, সোমবার গভীর রাতে ডোডা জেলার জঙ্গলে জঙ্গিরা টহলরত সৈন্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। এক বিবৃতিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, অঞ্চলের নিরাপত্তা জোরদারে প্রয়োজনীয় টহল দল পাঠানো হয়েছে।
ভারত ও পাকিস্তান দীর্ঘ দিন থেকে কাশ্মীরের হিমালয় অঞ্চলকে নিজেদের দাবি করে আসছে। এছাড়াও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রশিক্ষণ, অর্থায়নের মাধ্যমে কাশ্মীরের দিকে পাঠানোর বিষয়ে পাকিস্তানকে দোষারোপ করছে ভারত। কিন্তু এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে পাকিস্তান।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অঞ্চলটির পুলিশ প্রধান আরআর সোয়েন বলেন, ‘১৯৯৫ সাল থেকে যে অবস্থা বিরাজ করছে সে ধরণের সহিংসতা ফিরিয়ে আনার জন্যই এ হামলা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীরা অবশ্যই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো ত্রুটি খুঁজে পেয়েছে। ফলে তারা অঞ্চলে প্রবেশ করে হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছে।’
বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় নিহত সেনা সদস্যদের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।