রাজধানী টোকিওর হানেদা বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর। নববর্ষের ছুটিতে অনেকেই জাপানে বেড়াতে আসে। উত্তরাঞ্চলীয় দ্বীপ হোক্কাইডোর সাপ্পোরো শহর থেকে টোকিওর উদ্দেশে ১২ জন ক্রুসহ ৩৭৯ জনকে নিয়ে যাত্রা করে বিমানটি। টোকিও থেকে সাপ্পোরোর দূরত্ব ৮৩২ কিলোমিটার।
রানওয়েতে নামার সঙ্গে সঙ্গে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় বিমানের একাংশে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই যাত্রীরা থেকে ছুটে বের হয়ে আসে। পরে ক্রু ও যাত্রীসহ সবাইকে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়। ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় ৫ টা ৪৭ মিনিটে অবতরণ করে। এই ঘটনার পর বিমানবন্দরের সব রানওয়ে বন্ধ করে দিয়ে ফ্লাইটও স্থগিত করা হয়েছে।
এই বিমানবন্দর থেকেই জাপানের উপকূলরক্ষী বাহিনী কোস্ট গার্ডের একটি উড়োজাহাজ ভূমিকম্প কবলিত নিগাতা এলাকায় ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কোস্ট গার্ডের উড়োজাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। তবে কোস্ট গার্ডের ৬ জন ক্রুর মধ্যে একজনকে উদ্ধার করা গেলেও, বাকি ৫ জনের কেউ বেঁচে নেই।
কোস্টগার্ডের মৃত্যুর ঘটনায় শোক জানিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী। উদ্ধারকাজের দায়িত্বে থাকা সব সংস্থাকে দুর্ঘটনার ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সহায়তা করার নির্দেশ দেন তিনি। কীভাবে দুটি বিমানের সংঘর্ষ হয়েছে তার কারণ খুঁজতে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। এদিকে আগুন নেভাতে হিমশিম খাচ্ছে দমকল বাহিনী।
বছরের প্রথম দিন ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতে প্রায় অর্ধশত মানুষ নিহত হয়। একদিন পরই বিমানে আগুনের ঘটনা ঘটলো।