পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জেলার সাতটি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ মোড়, সড়ক, বাসস্ট্যান্ড ও নদীপথে অতিরিক্ত ২২০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। শহর ও উপজেলা পর্যায়ে বিশেষ টহল ও চেকপোস্টে যানবাহনে তল্লাশি চলছে। জেলা পুলিশের মোবাইল টিম ও টহল ইউনিট সার্বক্ষণিক সক্রিয় রয়েছে এবং থানা পর্যায়ে রিজার্ভ ফোর্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) জানিয়েছে, ঢাকা–আরিচা মহাসড়ক, পাটুরিয়া ফেরিঘাট, মানিকগঞ্জ শহর, শিবালয়, সিংগাইর ও ঘিওর উপজেলা সদরে অতিরিক্ত নজরদারি চালানো হচ্ছে। সম্ভাব্য নাশকতা প্রতিরোধে র্যাব ও পুলিশের যৌথ টহল দল মাঠে কাজ করছে।
এছাড়া জেলার সরকারি ও বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা-জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ লাইন্স, বিদ্যুৎ অফিস, ব্যাংক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ফেরিঘাট এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সম্ভাব্য অগ্নিসংক্রান্ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, ‘উথুলি মোড়ে চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া পাটুরিয়া ফেরিঘাট, আরিচা লঞ্চঘাট ও শিবালয় বাস টার্মিনালে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যানবাহনে তল্লাশি চলছে এবং সন্দেহজনক ব্যক্তিদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা নাশকতা সহ্য করা হবে না।’
পুলিশ সুপার ইয়াছমিন খাতুন বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ঘিরে কেউ যাতে নাশকতা বা বিশৃঙ্খলার চেষ্টা না করতে পারে, সে জন্য জেলা পুলিশের সব ইউনিটকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে এবং সন্দেহজনক চলাচল নজরদারিতে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় নাশকতা বা নাশকতার পরিকল্পনায় জড়িত সন্দেহে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, এর আগে গত রোববার রাতে শিবালয়ে একটি স্কুলবাসে ও সাটুরিয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের সামনে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়। এছাড়া ঢাকা–আরিচা মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে স্লোগান দেয় স্থানীয় ছাত্রলীগের একদল কর্মী।





