তবে শেখ হাসিনা, দুই সাবেক মন্ত্রী, পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা কে এই ব্যক্তি- প্রশ্ন উঠেছে। মামলার আবেদনপত্র থেকে জানা গেছে, মামলা করা ব্যক্তির নাম এস এম আমীর হামজা শাতিল। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী।
মামলার আবেদন সংক্রান্ত নথিতে দেয়া তথ্যানুযায়ী, ঢাকার আদাবর থানার ১৯, মিরপুর রোডে বসবাস করেন ৪২ বছর বয়সী আমীর হামজা। তার পিতার নাম ফকির রেজাউদ্দিন।
মামলার বিষয়ে তিনি জানান, মোহাম্মদপুরের মুদি দোকানদার আবু সায়েদকে হত্যার বিচার চেয়ে তিনি এ মামলা দায়ের করেছেন। বাদী আমীর হামজা কল্যাণপুরের একজন দুগ্ধ খামারি বলে জানা গেছে।
তিনি জানান, নিহত আবু সায়েদ তার ঘনিষ্ঠ কেউ না। তবে বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে তিনি স্বেচ্ছায় এ মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা মিছিল সমাবেশ করে। শান্তিপূর্ণ এসব মিছিলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে গুলি চালানো হয়।
গুলিবিদ্ধ হয়ে বহু ছাত্র-জনতা নিহত ও আহত হন। গত ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরের বসিলা ৪০ ফিট এলাকায় ছাত্র-জনতা শান্তপূর্ণ মিছিল সমাবেশ করছিল। সেখানেও পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। রাস্তা পার হওয়ার সময় স্থানীয় মুদি দোকানদার আবু সায়েদ মাথায় গুলিবিদ্ধ হন এবং ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন।
অভিযোগে আরো বলা হয়, নিহত সায়েদকে তার গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড়ের বোদায় নতুন বস্তি প্রধান হাটে নিয়ে দাফন করা হয়। তার মা, স্ত্রী, ছেলে সন্তান সেখানেই থাকেন। এ কারণে তারা ঢাকায় এসে মামলা করতে অপারগ।
আমীর হামজা বলেন, 'বিবেকের তাড়নায় এসে খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করেছি। প্রধান আসামি শেখ হাসিনা ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং খুনি পুলিশ বাহিনী। সমস্ত বাংলাদেশে যত খুনের ঘটনা ঘটেছে সব খুনের বিচার চাই।'
মামলার অভিযোগপত্রে বাদী বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দোলন কঠোর হস্তে দমন করতে বারবার নির্দেশ দিয়েছেন। ওবায়দুল কাদের ও আসাদুজ্জামান কামালের নির্দেশে পুলিশের আইজিপি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অধীনস্থ পুলিশদের নির্দেশ দিয়ে মিছিলে গুলি চালায়। পরস্পর যোগসাজশে আসামিরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। কাজেই এর বিচার হওয়া প্রয়োজন।