বছরের শুরুতে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী বাছাইয়ে টানা ৯টি অঙ্গরাজ্যে জয়ের পর অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনয়ন। তবে চমক হিসেবে কলাম্বিয়ায় জিতে যান নিক্কি হ্যালি। বিবেক রামাসোয়ামি ও রন ডি স্যান্টিসের মতো নির্বাচন দৌঁড় থেকে না সরার ঘোষণা দেন তিনি। অপেক্ষা ছিল সুপার টিউসডে'র ফলাফলের। ১৫টির মধ্যে শুধু ভেরমন্ট অঙ্গরাজ্যে জয়ের পর নিক্কির সরে দাঁড়ানোর ঘোষণায় রিপাবলিকান দলে ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো আর কেউ থাকলো না। তবে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হবার দৌঁড় থেকে সরে দাঁড়ালেও সরাসরি ট্রাম্পকে পূর্ণ সমর্থন দেননি ক্যালিফোর্নিয়ার এই সাবেক গভর্ণর।
রিপাবলিকান এই নেতা বলেন, 'কখনো জনতাকে অনুসরণ করবেন না। সব সময় নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিন। আমাদের দলের ভোট পাওয়ার দায়িত্ব এখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের। এমনকি যারা তাকে চায় না তাদের ভোটও। আমি আশা করি তিনি এই দায়িত্ব পালন করবেন।'
এদিকে ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী বাছাইয়ে এতদিন অপরাজিত থাকলেও আমেরিকান সামোয়াতে হারের মুখ দেখেছেন জো বাইডেন। অপরিচিত মুখ ব্যবসায়ী জেসন পামারের কাছে হেরেছেন তিনি। যদিও আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ট্রাম্প-বাইডেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা পুনরাবৃত্তিতে বাধা তৈরির আশঙ্কা নেই।
নিক্কি হ্যালি সরে দাঁড়ানোয় তার সমর্থকদের আকৃষ্ট করতে তৎপরতা চালাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প আহ্বান জানান, হ্যালির সমর্থকরা যেন তাকে ভোট দেন। অন্যদিকে হ্যালির সমর্থকদের ভোট ট্রাম্প চান না বলে দাবি বাইডেনের। জানান, তার জন্য সব ধরনের ভোটারদের স্থান রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবেন নিক্কি হ্যালির সমর্থকরা।
চ্যাপম্যান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক লরি কক্স হ্যান বলেন, নিক্কি হ্যালিকে সমর্থনকারীরা যদি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন না দেন, সেক্ষেত্রে তারা কোথায় যাবে? তারা কি তৃতীয় পক্ষের কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দিবে? নাকি তারা ট্রাম্প বিরোধী হওয়ায় নভেম্বরে বাইডেনকে সমর্থন করবে? সামনে বিষয়টি বড় প্রশ্ন হিসেবে দাঁড়াবে।
আগামী জুলাইয়ে রিপাবলিকান ও আগস্টে ডেমোক্রেট পার্টির জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে ঘোষণা আসবে চূড়ান্ত প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর নাম।