দেশে পরিকল্পিত মেগাপ্রকল্প, নিরাপদ ভবন হয়েছে অনেক। একইসাথে ঝুঁকিপূর্ণ ছোট থেকে মাঝারি ভবন, স্থাপনায় আগুনের ঘটনাও ঘটেছে বেশি।
বিগত দিনে বেশ বড় বড় অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী হয়েছে পুরো দেশ। সবশেষ বছরে প্রায় ২৮ হাজার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে দেশে, প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ। সেই সঙ্গে আগুনের ঘটনায় ৭৯২ কোটি ৩৬ লাখ টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
তাই অগ্নি দুর্ঘটনার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তিন দিনের আন্তর্জাতিক ফায়ার সেফটি এক্সপোর আয়োজন করে ইলেকট্রনিক্স সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন (ইসাব)। এক্সপোতে স্টলে স্টলে সাজানো ফায়ার এক্সটিংগুইসার, ডেলিভারি হোস যন্ত্র, অ্যারোসল টেকনোলজি, ফোম, সাউণ্ড প্রুফ ডোর, ফায়ার প্রটেকশন, ডিটেকশনসহ নানা যন্ত্র।
আয়োজকেরা বলেন, মূলত অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এমন পণ্যই প্রদর্শিত হয়েছে এক্সপোতে। সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি পাওয়া গেছে কাঙ্ক্ষিত ক্রয়াদেশও।
সমাপনী অনুষ্ঠানে ইসাবের সভাপতি নিয়াজ আলী চিশতী বলেন, নির্বাপন যন্ত্রের ৮০ শতাংশই আমদানি নির্ভর। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কমাতে তিনি সচেতনতা ও নজরদারির ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ' এক্ষেত্রে রেগুলেটরি বোর্ডকে শক্তিশালী হতে হবে। পাশাপাশি সচেতনতাও বাড়াতে হবে।'
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে আগুন নেভাতে অধিকতর প্রশিক্ষণ দরকার। তিনি বলেন, 'ফায়ার সার্ভিসে আমরা জীবন দেয়ার জন্য প্রস্তুত, কিন্তু কোয়ালিটি কন্ট্রোল করার মতো ক্যাপাবিলিটিতে আমরা পৌঁছাইনি।'
এই জাতীয় পণ্য আমদানি নির্ভর, তবে চাহিদার ২০ শতাংশ দেশেই উৎপাদন হচ্ছে। আগুন নেভানো, নিরাপত্তা, সুরক্ষা পণ্যের ১৫ হাজার কোটি টাকার বাজার রয়েছে দেশে।
মেলায় ফায়ার প্রোটেকশন রেসকিউ বোর্ড, ওয়াটার ট্যাঙ্ক, টিটিএল পণ্যের ক্রয়াদেশ হয়েছে বেশি।