এশিয়া
বিদেশে এখন
0

মুদ্রাস্ফীতির আঁচ পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে

পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ ও সহিসংতার পাশাপাশি মুদ্রাস্ফীতির আঁচ লেগেছে প্রার্থীদের প্রচার ব্যয়ে। ভাটা পড়েছে মুদ্রণ শিল্পে।

প্রায় ২৪ কোটি জনসংখ্যার দেশ পাকিস্তানে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সাধারণ নির্বাচন। টানা তৃতীয়বারের মতো বেসামরিক সংসদে ভোট দেবেন দেশটির জনগণ। সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাগারে আর একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নির্বাসন শেষে ফিরেছেন দেশে। এমন রাজনৈতিক অস্থিরতায় চিন্তিত ভোটাররাও।

নির্বাচন ঘিরে ব্যস্ত রাজনৈতিক দলগুলো। তবে, চলমান অর্থনৈতিক সংকটে প্রচার প্রচারণায় ভাটা পড়েছে অনেক প্রার্থীর। দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি ছাড়িয়েছে ৩০ শতাংশ, যার ফলে, ব্যানার, ফেস্টুনে খরচ কমিয়েছেন অনেকে।

করাচির একটি প্রিন্টিং ওয়ার্কশপে চলছে বিভিন্ন প্রার্থীদের ব্যানার তৈরির কাজ। প্রায় ৪০ বছর ধরে এই প্রিন্টিং ওয়ার্কশপ চালাচ্ছেন ব্যবসায়ী আসিম নিসার। শুধু মুদ্রণ শিল্প নয়, মন্দায় নির্বাচনী অন্যান্য খাতও। ব্যবসায়ীরা জানান, আগের তুলনায় মুনাফা কমেছে প্রায় অর্ধেক। রাজনৈতিক অস্থিরতায় অনেক প্রার্থীই ছাপাচ্ছেন না পোস্টার।

ছাপাখানায় কাজ করেন এমন একজন জানান, 'গতবারের চেয়ে চলতি বছর আমাদের ব্যবসা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। আগের নির্বাচনে আমাদের কাজ করার জন্য পুরো তিন মাস সময় ছিল, অথচ এ বছর নির্বাচন কমিশন ১৩ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ করেছে।'

‌আরেকজন জানান, 'আগের নির্বাচনগুলোতে প্রার্থীদের অনেক তৎপরতা ছিল, আমাদের ব্যবসা ভাল হতো। কিন্তু এবারের নির্বাচনে আমাদের ব্যবসা গতবারের তুলনায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। আমাদের দোকানে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় পাকিস্তান পিপলস পার্টির পতাকা'।

চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে ভোটারদের পাশপাশি চিন্তিত পাকিস্তান পিপলস পাটি, নওয়াজ শরিফ ও ইমরান খানের দলের সমর্থকারও।

এ বিষয়ে স্থানীয়দের রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তারা জানান, 'এ বছর মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে, ভোট নিয়ে মানুষ তেমন চিন্তিত নই। ব্যানার এবং পতাকার জন্য কেউ অর্থ ব্যয় করছেন না'।

এদিকে, অর্থনৈতিক সংকটে ভুগতে থাকা পাকিস্তানের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা-পিআইএর মুনাফা না হওয়ায় নির্বাচনের পরেই এটি বিক্রি করে দেয়ার সিন্ধান্ত নিয়েছে দেশটির তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সংশ্লিষ্টরা জানান, বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া হবে পাকিস্তানে পতাকাবাহী এই সংস্থাকে। রাষ্ট্রয়ত্ত্ব এই উড়োজাহাজের বর্তমান দায় ৭৮ হাজার ৫০০ কোটি রুপি। ২০২৩ সালেই সংস্থাটির মোট লোকসানের পরিমাণ ১১ হাজার ২০০ কোটি রুপি।