বিশ্বের ৫ম দেশ হিসেবে চাঁদের বুকে অবতরণ করেছে জাপানের চন্দ্রযান মুন স্নাইপার। তবে অবতরণের পর এখনো চালু করা সম্ভব হয়নি সোলার জেনারেটর। অন্যদিকে প্রতি মূহুর্তেই ফুরিয়ে আসছে ব্যাটারি। এতে অভিযানের পরবর্তী ধাপ চালানো নিয়ে শঙ্কায় দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাক্সা।
করতালির মাধ্যমে অভিনন্দন জানানো ছবি গোটা জাপানজুড়ে ভেসে বেড়িয়েছে শনিবার (২০ জানুয়ারি)। কারণ, বিশ্বের ৫ম দেশ হিসেবে চাঁদের বুকে পা রেখেছে জাপান। এর মাধ্যমে চন্দ্রবিজয়ী দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন ও ভারতের পাশে নাম লেখালো প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটি। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই তাদের এই সাফল্য ম্লান হতে থাকে।
জাপানের স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) মধ্যরাতে চাঁদের মাটি স্পর্শ করে নিজস্ব প্রযুক্তিতে বানানো চন্দ্রযান মুন স্নাইপার। অবতরণের সঙ্গেই ল্যান্ডার স্লিম বার্তা পাঠায় পৃথিবীতে। তবে ঘণ্টাখানেক পর দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা- জাক্সা জানায়, চন্দ্রযানটির সোলার জেনারেটর কাজ করছে না। দ্রুতই জেনারেটর চালু না হলে ফুরিয়ে যাবে ব্যাটারির চার্জ। এতে শেষ হতে পারে মুন স্নাইপারের যাত্রা।
জাক্সার জ্যেষ্ঠ পরিচালক হিতোশি কুনিনাকা জানান, 'সোলার জেনারেটর এখনো চালু করা সম্ভব হয়নি। ব্যাটারি ফুরিয়ে যাবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে। এরমধ্যেই সোলার জেনারেটর চালু করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য'।
হিতোশি কুনিনাকা আরো জানান, 'চাঁদে সৌর কোণ পরিবর্তন হতে প্রয়োজন ৩০ দিন। অর্থাৎ জেনারেটর চালু করতে আমাদের ৩০ দিন অপেক্ষা করতে হবে। আশা করছি, সৌরশক্তিতে জেনারেটরটি কাজ করবে'।
শুধু জেনারেটরই নয়, ল্যান্ডার স্লিমের অবস্থান সম্পর্কেও অনিশ্চিত জাক্সার বিজ্ঞানীরা। পূর্বপরিকল্পিত ১০০ মিটারের মধ্যে ল্যান্ডারটি অবতরণ করতে পেরেছে ক কী না তাও জানতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। অন্যান্য চন্দ্রযানগুলো অবতরণে নির্ধারণ করা হয় কয়েক কিলোমিটার জায়গা। কাজটি পরিকল্পনা অনুযায়ী সম্পন্ন করা হয়েছে কী না, তা যাচাইয়ে কমপক্ষে দুইমাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছে দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
বিদায়ী বছরের ৭ সেপ্টেম্বর চন্দ্র অভিযান শুরু করে জাপান। লক্ষ্য চাঁদের বুকে পানির পাশাপাশি অক্সিজেন ও জ্বালানির সন্ধান করা।