প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও মানুষের উন্নতিই একমাত্র লক্ষ্য। আমেরিকাসহ প্রতিটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ভাল সম্পর্ক আছে বলেও জানান তিনি।
এদিন প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে দেশি-বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষক গণভবনে আসেন। এই আয়োজনে আওয়ামী লীগ নেতারাও ছিলেন।
নির্বাচন উপলক্ষে আসা বিদেশিদের ধন্যবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘এ নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য যুগান্তকারী ঘটনা।’
তিনি বলেন, 'এত মানুষের আগ্রহ আগে কখনও দেখিনি। এ দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার সব ধরনের ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি, যা আপনারা দেখেছেন। এ বিজয় হচ্ছে, জনগণের বিজয়। এতে আমি খুব আনন্দিত।'
২০২৬ সালে এলডিসি উত্তরণসহ আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তার সরকারের নেয়া নানা পরিকল্পনা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, '২০২৬ সাল থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের যাত্রা শুরু হবে। তার জন্য বেশকিছু চ্যালেঞ্জ আছে আবার কিছু সুযোগ-সুবিধাও আমরা পাব। সে লক্ষ্যে করণীয় সম্পর্কে আমরা ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নিয়েছি।'
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের ভালো সম্পর্ক আছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে কেমন সম্পর্ক থাকবে তা নির্ভর করবে যুক্তরাষ্ট্রের উপর। এ সময় তিনি ড. ইউনূস প্রসঙ্গেও কথা বলেন।
বিদেশি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, কোন বিশেষ দল নির্বাচনে অংশ না নিলে দেশের নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে এমনটি বলার সুযোগ নেই।