বিদেশে এখন
বন্যা ও ভূমিধসে ব্রাজিলে প্রাণহানি বেড়ে ৭৮ জনে
টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় পানিবন্দি ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য রিও গ্রান্দে দো সুলে'র বাসিন্দারা। ৪৯৭টি শহরের দুই তৃতীয়াংশের বেশি এলাকা পানিতে ডুবে থাকায় বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে এক লাখ ১৫ হাজার। হু হু করে বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যাও। এমনকি এখনও সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ শতাধিক মানুষের।

ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে ব্রাজিলে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮ জনে। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এক লাখের বেশি মানুষ। বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা।

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা বলেন, ‘আমাদের অনেক রাস্তা মেরামতের প্রয়োজন হবে। তবে এ নিয়ে চিন্তার কারণ নেই। রাজ্যের রাস্তাগুলো পুনরুদ্ধারে সরকার সর্বোচ্চ সহায়তা করবে। এছাড়া অনেকের ঘরবাড়িও পুনর্নির্মাণ করতে হবে। এর জন্য রাজ্য এবং ফেডারেল সরকারকে নিরাপদ জমি খুঁজে বের করতে হবে। কারণ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের একই জায়গায় বাড়ি পুনর্নির্মাণের অনুমতি দেয়া ঠিক হবে না।’

ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে কয়েকটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় থমকে আছে পরিবহন ব্যবস্থা। বন্যার ধ্বংসযজ্ঞে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ পৌঁছেছে সীমাহীন পর্যায়। তীব্র হচ্ছে বেঁচে থাকার লড়াই। দেশটির সিভিল ডিফেন্সের তথ্য বলছে, খাবার পানির সংকটে রয়েছেন ৮ লাখের বেশি মানুষ। এ অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বন্যাকবলিতদের উদ্ধারে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।

বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘আমরা জানি না এখন আমাদের বাড়িটি কি অবস্থায় আছে। কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে ঘরের যে জিনিসগুলো কেনা হয়েছে সেগুলোও পানিতে নষ্ট হয়ে যাবে। বলতে গেলে আমরা সব হারিয়ে ফেলেছি।’

আরেকজন বলেন, ‘আমাদের উদ্ধার কাজ চালানোর ক্ষেত্রে বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ নেই। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কতদিন সময় লাগবে তা বলা যাচ্ছে না।’

এদিকে শনিবার ও রোববারের ভারী বৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। পনিতে তলিয়ে গেছে অনেক রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি। হেলিকপ্টার দিয়ে তদারকি করা হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে আনা হচ্ছে সেখানকার বাসিন্দা ও গৃহপালিত পশু-পাখি।

ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত আফ্রিকার দেশ কেনিয়া। প্রাণহানি ২শ' ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া ভারি বৃষ্টির কারণে ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ সুলাওয়েসি প্রদেশেও প্রাণঘাতি বন্যা হানা দিয়েছে।

ইএ