বিদেশে এখন
গাজায় শরণার্থী শিবিরের পাশে ময়লার ভাগাড়
ভয়াবহ স্বাস্থ্য সংকটের মুখে গাজাবাসী। বর্জ্য ও ত্রাণের প্যাকেটসহ রাস্তাঘাটে ফেলা হচ্ছে আর্বজনা। এরই মধ্যে শরণার্থী শিবিরগুলো ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।

ইসরাইলের আগ্রাসনে গাজা পরিণত হয়েছে ক্ষুদ্র এক উপত্যকায়। হামলা থেকে একদিকে জীবন বাঁচানোর লড়াই, অন্যদিকে পর্যাপ্ত পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা ও আর্বজনা ফেলার জায়গা না থাকায় শরণার্থী শিবিরগুলোর আশেপাশে ময়লার ভাগাড় তৈরি হয়েছে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বাস্তুচ্যুত মানুষগুলোর জীবনযাপন অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হয়ে গেছে। দৈনন্দিন সব বর্জ্য তাঁবুর কাছেই ফেলা হচ্ছে। দুর্গন্ধ আর রোগ-জীবাণু ছড়াচ্ছে বাতাসে। দূষিত পরিবেশে রোগবালাই বাড়ছে।

গাজার বাসিন্দারা বলেন, ‘তাঁবুর কাছেই ময়লার ভাগাড়। সারাদিনই মাছি উড়ছে। পৌর কর্তৃপক্ষ আগে বেশ দায়িত্বশীল ছিল, নিয়মিত বর্জ্য পরিষ্কার করতো।’

গাজার এক বাসিন্দা বলেন, ‘যুদ্ধ শুরুর পর নগর ব্যবস্থাপনা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। আমার তিন সন্তান আছে, ওদের চর্মরোগ হচ্ছে। কারো না কারো জ্বর লেগেই আছে। কিছুতেই শিশুদের সুস্থ রাখতে পারছি না।'

এদিকে ময়লা আর্বজনার পাশেই খেলাধুলা করছেন শিশুরা। গবাদিপশু ভাগাড়েই চড়ানো হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে শিশু ও শরণার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। পৌর কর্তৃপক্ষের অসহায় স্বীকারোক্তি যুদ্ধের কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নির্দিষ্ট ল্যান্ডফিলে ময়লা ফেলতে যাচ্ছেন না তারা।

এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী বলেন, ‘আল জাওয়াইদা এলাকায় এমন পরিস্থিতি আগে কখনও দেখেনি। কীটপতঙ্গ আর দুর্গন্ধে কষ্টে আছেন সবাই। এতো নোংরা পরিবেশে মানুষের পক্ষে টিকে থাকা সম্ভব না।’

জাতিসংঘের তথ্য বলছে, গাজায় খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের তীব্র সংকটে ভুগছেন প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ। আর প্রায় ২২ লাখ নাগরিক দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছেন।

এওয়াইএইচ