শিল্প-কারখানা
অর্থনীতি
রাজধানীতে চলছে ১৬তম ডেনিম এক্সপো
বিশ্বে আগামী ২০২৬ সালে ডেনিমের বাজার ৭৬.১ বিলিয়ন ডলার হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি বছরে ৪.৮ শতাংশ হারে বাড়বে। সেলক্ষ্যে দেশীয় রপ্তানি বাড়াতে প্রতি বছরের মতো এবারও ১৬তম ডেনিম এক্সপো'র আয়োজন করা হয়েছে। এই খাতের বাজার বাড়লেও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটে ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

৬৪ বিলিয়ন ডলারের ডেনিমের বিশ্ববাজারে আধিপত্য বিস্তারে সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন দেশের ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে রপ্তানিকারকরা বিশ্বব্যাপী প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলারের ডেনিম পণ্য সরবরাহ করছেন।

এলক্ষ্যে ডেনিম খাতে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন দেশীয় উদ্যোক্তারা। দেশে ইতোমধ্যে ৪২টি আধুনিক কারখানা আছে। এ থেকে প্রতি বছর ৯০ কোটি মিটারের বেশি ডেনিম কাপড় উৎপাদন সম্ভব।

এ জাতের কাপড়ের ব্যবসা বাড়াতে ও ধারাবাহিকভাবে নতুনত্ব আনতে প্রতি বছর ডেনিম মেলা আয়োজন করা হয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (৬ মে) দুদিনের মেলার আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশ ছাড়াও অংশগ্রহণ করেছে ১১টি দেশের ৬০টি প্রতিষ্ঠান।

মেলা মূলত একই ছাদের নিচে অনেক ক্রেতা-বিক্রেতা একত্রিত হওয়ার বিষয়টি সহজ করেছে বলে জানান অনেকে। দর্শনার্থীরা দেখছেন পণ্যের নতুনত্ব ও মান।

দর্শনার্থীদের একজন বলেন, 'ডেনিম এক্সপো একটা ভালো ব্যাপার যেখানে বায়ার, ফ্যাক্টরি ও কাস্টমার একটা ছাদের নিচে আসে।'

এদিকে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মূহুর্তে যখন খরচের বিপরীতে সঠিক দাম পাওয়া যাচ্ছে না, তখন বাংলাদেশে পণ্য উৎপাদন ও তৈরির কথা জানালেন এক্সপোতে অংশগ্রহণ করা প্রতিষ্ঠানগুলো।

অপরদিকে গত দু'বছরে ডলার সংকটে সঠিক সময়ে নিজেদের পেমেন্ট পাচ্ছেন না সাপ্লাইয়াররা। তাই কেউ কেউ বাংলাদেশ থেকে অন্য দেশে যাচ্ছেন। 

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ রক্ষায় প্রতিনিয়ত পানির ব্যবহার কমিয়ে ডেনিমের কাঁচামাল উৎপাদনের চেষ্টা চলছে।

ইএ